মৃত্যুর পরের ঠিকানাও বিক্রি হচ্ছে আবাসন মেলায়
আবাসন ব্যবসায়ীদের সংগঠন রিহ্যাবের আবাসন মেলায় অ্যাপার্টমেন্ট যেমন পাওয়া যাচ্ছে তেমনি মৃত্যুর পর ঠিকানা হবে যে কবরে তারও বিকিকিনি চলছে।
রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে মঙ্গলবার থেকে শুরু হওয়া পাঁচ দিনের মেলায় “রাওদাতুল জান্নাত” নামের এই প্রকল্প নিয়ে এসেছে এমআইএস হোল্ডিংস লিমিটেড নামের একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান।
ঢাকা শহরে কবরের জন্য জায়গার সংকটের কথা মাথায় রেখেই চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে প্রথমবারের মতো ব্যক্তি মালিকানাধীন কবরের প্রকল্প এনেছিল ওই আবাসন প্রতিষ্ঠান। কাঙ্ক্ষিত সাড়া পাওয়ায় প্রতিষ্ঠানটি আবার কবর কেনার সুযোগ নিয়ে এসেছে সম্ভাব্য ক্রেতাদের জন্য।
অ্যাপার্টমেন্টের আকার, সুযোগ সুবিধা ও এলাকার ভিন্নতায় দামের পার্থক্য হলেও কবরে অবশ্য কোনো ভিন্নতা নেই। সাত ফুট দৈর্ঘ্য প সাড়ে তিন ফুট প্রস্থের প্রতিটি কবরের দাম ধরা হয়েছে সাড়ে তিন লাখ টাকা। আর দাফনের পুরো প্রক্রিয়া সম্পন্ন করানোর জন্য সার্ভিস চার্জ দিতে হবে আরও ২০ হাজার টাকা। মৃত্যুর খবর জানিয়ে প্রিয়জনদের কেউ ফোন করলেই পরের সব কাজ প্রকল্পের কর্মীরা সম্পন্ন করবে।
প্রতিষ্ঠানটির লিগ্যাল এডভাইজার মোজাম্মেল হোসেন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “কুড়িল ফ্লাইওভার থেকে গাড়িতে ২৫ মিনিটের দূরত্বে পূর্বাচলের ৩০ নম্বর সেক্টর লাগোয়া গাজীপুরের কালিগঞ্জের পানজরা মৌজায় ২০০ বিঘা জমির ওপর “রাওদাতুল জান্নাত” প্রকল্প। প্রায় ৮০ হাজার কবরের জন্য এই জায়গা যথেষ্ট।
তিনি আরও বলেন, “কবরস্থানের পাশাপাশি সেখানে আধুনিক সুযোগ সুবিধাসহ একটি বৃদ্ধাশ্রম, অনাথাশ্রম, শিশুদের দেখভালের জন্য একটি কেন্দ্র, মাদ্রাসা ও মসজিদ থাকবে। এসব প্রতিষ্ঠান থেকে প্লট মালিকরা মৃত্যুর পর সদকায়ে জারিয়ার সুবিধা পেতে থাকবেন।”
কবরের প্লট কেনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেজিস্ট্রেশন কাজ সম্পন্ন করা হবে বলেও জানান তিনি।
Comments