‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নাম ধারণ করে হামলা মুক্তিযুদ্ধের চরম অবমাননা: বিশিষ্টজনদের বিবৃতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নুর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি উচ্চকিত হচ্ছে দেশের বিশিষ্টজনদের বিবৃতিতে।
ducsu_clash-1.jpg
২২ ডিসেম্বর ২০১৯, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের নেতা-কর্মীদের হামলায় ভিপি নুরুল হক নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের ২৭ জন আহত হন। ছবি: প্রবীর দাশ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সহ-সভাপতি (ভিপি) নুর ও ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি উচ্চকিত হচ্ছে দেশের বিশিষ্টজনদের বিবৃতিতে। ‘পাশবিক’ এই হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে তারা বলেছেন, হামলাকারীরা ‘মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ’ নাম ধারণ করে এই ন্যক্কারজনক অপরাধ সংগঠিত করে যা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধের প্রতি চরম অবমাননাকর।

হামলায় আহতদের চিকিৎসার জন্য ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি জানিয়েছেন তারা।

গণমাধ্যমে পাঠানো এই বিবৃতিতে স্বাক্ষরকারী হলেন এম হাফিজ উদ্দিন খান, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. শাহদীন মালিক, জাফরুল্লাহ চৌধুরী, অধ্যাপক সি আর আবরার, অধ্যাপক আসিফ নজরুল, অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক স্বপন আদনান, সারা হোসেন, সৈয়দা রেজওয়ানা হাসান, হাসনাত কাইয়ুম, রেহনুমা আহমেদ, ফরিদা আখতার, শিরীন হক, ড. ফসটিনা পেরেরা, ড. শহিদুল আলম, জাকির হোসেন, নূর খান লিটন, সিনথিয়া ফরিদ।

তারা বলেন, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা শিক্ষার্থীসহ দেশের সকল নাগরিকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি মৌলিক সাংবিধানিক অধিকার। এ অধিকার প্রয়োগ করতে গিয়ে নুর ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা কর্মীরা বারবার হামলার শিকার হলেও হামলাকারীরা বিচারের সম্মুখীন হয়নি। এর প্রতিকার ও প্রতিরোধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা কোন সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছে এমন দৃষ্টান্ত নেই।

এসব হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে তারা বলেন, “এই জঘন্য  অপরাধের সঙ্গে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত সকলকে যথাযথ প্রক্রিয়ায় সম্পূর্ণ নিরপেক্ষ তদন্ত সাপেক্ষে বিচারের সম্মুখীন করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ডাকসুতে আক্রমণের সিসিটিভি ফুটেজ উদ্ধার করে হামলার জন্য দায়ী সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং আহতদের চিকিৎসার জন্য উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদানের জন্য আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি। আমরা মনে করি, এসব হামলার ঘটনার জন্য দায়ী সকল ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও সরকারের আশু দায়িত্ব। এটি পালন না করলে দেশে উচ্চ শিক্ষার উপযোগী পরিবেশ শুধু নয়, আইনের শাসন ও সাংবিধানিক অধিকারের অস্তিত্বও প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

8h ago