‘গ্রেপ্তারকৃত হুজি সদস্যরা মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উজ্জলকে মুক্ত করতে চেয়েছিলো’
![](https://tds-images-bn.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/huji-1.jpg?itok=sMvWK4Zt×tamp=1577436207)
রাজধানীর বাড্ডা এলাকা থেকে নিষিদ্ধ জঙ্গি সংগঠন হরকাত-উল-জিহাদের (হুজি) ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।
গ্রেপ্তারকৃতরা ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উজ্জল ওরফে রতনকে কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত করার পরিকল্পনা করছিলো বলেও জানানো হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পক্ষ থেকে।
আজ (২৭ ডিসেম্বর) গুলিস্তানের মাওলানা ভাসানী স্টেডিয়ামে সিটিটিসি এবং ক্রাইম রিপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশের (সিআরএবি) মধ্যে আয়োজিত প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচের মধ্য বিরতিতে সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ের সময় জঙ্গিদের গ্রেপ্তার ও পরিকল্পনার বিষয়টি জানান সিটিটিসির প্রধান মনিরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, সিটিটিসির একটি দল আজ ভোরে বাড্ডার সাতারকুল এলাকা থেকে মো. বিল্লাল হোসেন (২৫), নুর আলম (২৮), মো. রফিকুল ইসলাম (২৯), আবুল মিয়া (৩০), আবদুর রহমান (৩০) এবং আক্তার হোসেন (৩৪)-কে গ্রেপ্তার করেছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে একটি চাপাতি, তিনটি ছুরি, দুটি মুখোশ, একটি খেলনা পিস্তল এবং ১০০ মিলি ক্লোরোফর্ম উদ্ধার করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তার মতে, “প্রাথমিক তদন্তের সময় গ্রেপ্তারকৃতরা জবানবন্দি দিয়ে বলেছে, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি উজ্জল ওরফে রতনের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা তহবিল সংগ্রহের জন্য ছিনতাই ও ডাকাতি করতো।”
“তহবিলের টাকা দিয়ে তারা অস্ত্র কেনার পরিকল্পনা করেছিলো। পরিকল্পনা অনুযায়ী, সে অস্ত্র উজ্জল এবং সংগঠনের অন্যান্য সদস্যদের কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্ত করতে ব্যবহার করবে বলেও তারা স্বীকার করেছে।”
গ্রেপ্তারকৃতদের উদ্ধৃতি দিয়ে মনিরুল আরও জানান, তারা উজ্জলের অধীনে গঠিত একটি দলের সদস্য।
“তাদের পরিকল্পনায় বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও প্রতিষ্ঠানে ভাঙচুর ও ধ্বংসযজ্ঞ চালানোর কথা ছিলো বলে জানা গেছে,” যোগ করেন মনিরুল ইসলাম।
উল্লেখ্য, গত মার্চের শুরুর দিকে, যাত্রাবাড়ী ও রামপুরা এলাকা থেকে হুজির আরও ১২ নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিলো।
Comments