রাবাদা-ফিল্যান্ডারের তোপে সুবিধাজনক অবস্থায় দ.আফ্রিকা
দক্ষিণ আফ্রিকাকে তিনশোর ভেতর আটকে প্রভাব বিস্তারের আভাস দিয়েছিল ইংল্যান্ড। কিন্তু নিজেরা ব্যাট করতে নামার পর প্রোটিয়া পেসে কাবু হতে হয়েছে তাদেরও। ভারনন ফিল্যান্ডার আর কাগিসো রাবাদা মিলে ইংল্যান্ডকে দুশোর ভেতর গুটিয়ে ম্যাচের লাগাম নিয়েছেন নিজেদের হাতে।
সেঞ্চুরিয়নে শুক্রবার টেস্টের দ্বিতীয় দিন দাপট ছিল দুই দলের পেসারদের। মোট উইকেট পড়েছে ১৫টি। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৮৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ইংল্যান্ড গুটিয়ে যায় ১৮১ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৭২ রান তুলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরমধ্যে তারা ১৭৫ রানের লিড নিয়ে নিয়েছে।
আগের দিনের ৯ উইকেটে ২৭৭ রান নিয়ে নেমে আর ৭ রান যোগ করেই বাকি ১ উইকেট হারায় স্বাগতিকরা।
ব্যাট করতে নেমে বোলিংয়ের উল্লাস ক্রমেই মিইয়ে যায় ইংলিশদের। মাত্র ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার জো বার্নস আর ডম শিবলিকে হারায় ইংল্যান্ড। ফিল্যান্ডার তুলে নেন বার্নসকে। রাবাদার শিকার শিবলি।
জো ডেনলি আর জো রুট মিলে সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন পরিস্থিতি। ফিল্যান্ডার রুটকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে ভেঙে দেন ৫৫ রানের জুটি। এরপর বেন স্টোকসের সঙ্গে আরও একবার প্রতিরোধ গড়েন ডেনলি।
দুজনের জুটিতে ৭২ আসার পর এবার আগে বিদায় নেন ডেনলিই। ১১১ বলে তার ৫০ রানের ইনিংস শেষ হয় ডোয়াইন পিটোরিয়াসের বলে। এরপর আর বেশিক্ষণ টেকেনি ইংল্যান্ডের ইনিংস। একের পর এক উইকেট হারাতে থাকে তারা।
জোফরা আর্চারকে আউট করে ইংলিশ কফিনে শেষ পেরেক টুকে দেন ফিল্যান্ডার। মাত্র ১৬ রানেই এই ডানহাতি পেসার নেন ৪ উইকেট। কাগিসো রাবাদা ৬৮ রানে নেন ৩ উইকেট, ৪৭ রানে ২ উইকেট পান আনরিক নরকিয়া।
দ্বিতীয় ইনিংসে নেমে আফ্রিকানরাও পড়ে ইংলিশ পেসারদের তোপে। আবার এইডেন মার্কামকে প্রথম ওভারেই এলবিডব্লিও করে ফেরত পাঠান জেমস আন্ডারসন। জুবায়ের হামজাকে ফেরান স্টুয়ার্ট ব্রড। ফাফ ডু প্লেসি আর ডিন আউট করেন আর্চার। ১৭ রানে অপরাজিত থাকা ফর ডের ডুসেনের সঙ্গে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ক্রিজে আছেন নরকিয়া।
তবে এরমধ্যেই পেস বান্ধব উইকেটে ১৭৫ রানের লিড হয়ে যাওয়ায় টেস্টের লাগাম অনেকটাই প্রোটিয়াদের হাতে।
Comments