চার বছর পর বিপিএলে সৌম্যর হাফসেঞ্চুরি
বড় রান তাড়ায় প্রয়োজন ছিল আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের। সৌম্য সরকার ঝড় তুললেন ঠিকই, তবে ততক্ষণে বেশ দেরি হয়ে গিয়েছে। সতীর্থরা একে একে বিদায় নেওয়ার আগে ঢিলেঢালা ইনিংস খেলে চাপ বাড়িয়ে দিয়েছেন। তাই দীর্ঘ চার বছর পর সৌম্য বিপিএলে হাফসেঞ্চুরি তুলে নিলেও তাকে মাঠ ছাড়তে হয়েছে হারের তেতো স্বাদ নিয়ে।
হ্যাঁ, চার বছর পর। শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে সৌম্য খেলেছেন ৪৮ বলে অপরাজিত ৮৮ রানের ইনিংস। মেরেছেন ৫ চার ও ৬ ছক্কা। সব ধরনের টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে এটি তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ৩৬ বলে ফিফটি ছোঁয়ার পর মুখোমুখি হওয়া পরের ১২ বল থেকে এই বাঁহাতি আদায় করে নিয়েছেন ৩৮ রান। তারপরও রাজশাহী রয়্যালসের ছুঁড়ে দেওয়া ১৯১ রানের জবাবে তার দল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স থেমেছে ১৫ রান দূরে। ২০ ওভার খেলে তারা করেছে ৪ উইকেটে ১৭৫ রান।
বিপিএলে এটি সৌম্যর দ্বিতীয় হাফসেঞ্চুরি। ঘরোয়া এই টি-টোয়েন্টি আসরে আগের ৫৬ ইনিংসে কেবল একটি ফিফটি ছিল তার। সেটাও করেছিলেন ৪৪ ইনিংস আগে। ২০১৫ সালের ১ ডিসেম্বর রংপুর রাইডার্সের হয়ে। প্রতিপক্ষ ছিল চিটাগং ভাইকিংস। ওই ম্যাচে ৫৮ রান করেছিলেন তিনি। ৫৬ বলের হার না মানা ইনিংসটিকে সাজিয়েছিলেন ৮ চার ও ১ ছক্কায়।
এখন পর্যন্ত বিপিএলে ৫৮ ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য। কিন্তু ব্যাট হাতে বেজায় বিবর্ণ তিনি। ৫৭ ইনিংসে তার সংগ্রহ মাত্র ৮৪০ রান। গড়ও বলার মতো কিছু নয়, মোটে ১৬.৮০। স্ট্রাইক রেটও আহামরি নয়, ১০৯.৩৭।
চলতি আসরে অবশ্য কিছুটা ইতিবাচক ছবি দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতিটি ম্যাচেই দুই অঙ্কে পৌঁছেছেন সৌম্য। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারছিলেন না। এদিন ঘটে ব্যতিক্রম। তবে দারুণ ব্যাটিং করলেও দলকে জেতাতে না পারায় আক্ষেপ থেকেই গেছে। সাত ম্যাচে ৩৯.১৬ গড়ে ২৩৫ রান নিয়ে সৌম্য আছেন বঙ্গবন্ধু বিপিএলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহকদের তালিকার ছয় নম্বরে। তার স্ট্রাইক রেট ১৪৫.০৬।
Comments