মরিনহোকে টেক্কা দিলেন গার্দিওলা
ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে কোচ হিসেবে দ্রুততম একশ ম্যাচ জয়ের রেকর্ড গড়েছেন পেপ গার্দিওলা। ম্যানচেস্টার সিটির এই ট্যাকটিশিয়ান পেছনে ফেলেছেন হোসে মরিনহোকে, যিনি বর্তমানে টটেনহ্যাম হটস্পারের দায়িত্বে আছেন।
রবিবার রাতে ঘরের মাঠ ইতিহাদ স্টেডিয়ামে শেফিল্ড ইউনাইটেডকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ম্যান সিটি। ফিরেছে জয়ে। লিগের আগের ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা হেরে গিয়েছিল উলভারহ্যাম্পটনের মাঠে। ৩-২ ব্যবধানে।
চেলসি, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের সাবেক কোচ মরিনহোর চেয়ে আট ম্যাচ আগে প্রিমিয়ার লিগে শততম জয়ের দেখা পেয়েছেন সাবেক স্প্যানিশ ফুটবলার গার্দিওলা। মরিনহোর লেগেছিল ১৪২ ম্যাচ। ২০১৭-১৮ মৌসুমে সিটিজেনদের দায়িত্ব নিয়ে ইংল্যান্ডে আসা গার্দিওলার লেগেছে ১৩৪ ম্যাচ।
এই তালিকার পরের নামগুলোও বিখ্যাত সব তারকা কোচদের। প্রিমিয়ার লিগে শততম জয় পেতে ইয়ুর্গেন ক্লপের লেগেছিল ১৫৯ ম্যাচ, স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের ১৬২ ম্যাচ, আর্সেন ওয়েঙ্গারের ১৭৯ ম্যাচ, রাফায়েল বেনিতেজের ১৮২ ম্যাচ ও ক্লদিও রানিয়েরির ১৮৭ ম্যাচ।
রেকর্ড গড়ার পর উচ্ছ্বসিত গার্দিওলা বলেছেন, ‘১০০তম জয় পাওয়া ক্লাব, খেলোয়াড় ও স্টাফদের জন্য বিরাট একটি অর্জন।’
‘এই প্রতিষ্ঠানের জন্য এটা একটি বিশাল প্রাপ্তি। বর্তমানে যে সকল খেলোয়াড় ও স্টাফ আছেন, তাদের জন্য একটি বড় অর্জন।’
গোলশূন্য প্রথমার্ধের পর নিজেদের মাঠে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে সার্জিও আগুয়েরোর গোলে এগিয়ে যায় ম্যান সিটি। গোলের যোগানদাতা কেভিন ডে ব্রুইন। শেষ দিকে এই বেলজিয়ান মিডফিল্ডার নিজেই নাম ওঠান স্কোর শিটে। অ্যাসিস্ট করেন রিয়াদ মাহরেজ।
প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকার তৃতীয় স্থানে থেকে ২০১৯ সাল শেষ করেছে ম্যান সিটি। তাদের অর্জন ২০ ম্যাচে ৪১ পয়েন্ট। সমান ম্যাচে ৪২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লেস্টার সিটি।
৫৫ পয়েন্ট নিয়ে প্রায় ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে শীর্ষে থাকা লিভারপুল। ক্লপের শিষ্যরা ম্যাচও খেলেছে কম, ১৯টি।
Comments