নির্বাচনের আগে কর্মকর্তাদের বদলি করা যাবে না: ইসি
ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের আগে কমিশনের অনুমতি ছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের বদলি না করার জন্য মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সচিবকে আজ (৩০ ডিসেম্বর) চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সংশ্লিষ্ট আইনের ধারা উল্লেখ করে কমিশন চিঠিতে বলেছে, নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে সাংবিধানিক সংস্থার কোনও কর্মকর্তাকে বদলি করা যাবে না।
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীরের স্বাক্ষর করা চিঠিতে বলা হয়েছে যে, নির্বাচন পরিচালনার জন্য ইতিমধ্যে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
প্রার্থিতা প্রত্যাহার কিংবা অন্যান্য বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিলের জন্য বিভাগীয় কমিশনারকে আপিল কর্তৃপক্ষ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়ে গেছে বলেও আলমগীর তার চিঠিতে উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, অবাধ ও নিরপেক্ষভাবে নির্বাচন পরিচালনার জন্য বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা থেকে প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও পোলিং অফিসারদেরও নিয়োগ করা হয়েছে।
এছাড়া প্রয়োজনীয় সংখ্যক ম্যাজিস্ট্রেট, বিভিন্ন আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য এবং বিভিন্ন সরকারি ও সরকার অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের দায়িত্ব বণ্টন করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।
দুটি সিটি করপোরেশনের সব কেন্দ্রে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হবে।
৩০ জানুয়ারির নির্বাচনের প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩১ ডিসেম্বর এবং প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ৯ জানুয়ারি। কমিশন ২ জানুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করবে।
নির্বাচন কমিশন থেকে পাওয়া তথ্যমতে, ঢাকা মহানগরীর সর্বমোট ৫৪ লাখ ভোটারের মধ্যে উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) ৩০ লাখ ৩৫ হাজার এবং দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি) ২৩ লাখ ৬৭ হাজার ভোটার রয়েছেন।
মেয়র নির্বাচনের পাশাপাশি ডিএনসিসির ভোটাররা ৫৪টি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ১৮ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং ডিএসসিসির ভোটাররা ৭৫টি ওয়ার্ডের ওয়ার্ড কাউন্সিলর এবং ২৫ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর নির্বাচন করবেন।
Comments