একাদশে না থেকেও উইকেটকিপার জাকের আলির রেকর্ড
ইনিংসের চতুর্থ ওভারে ওয়াহাব রিয়াজের দারুণ ডেলিভারিতে লিটন দাস ক্যাচ দেন উইকেটের পেছনে। এনামুল হক বিজয়ের বদলি হিসেবে নেমে সেটাই ম্যাচে জাকের আলি অনিকের প্রথম ক্যাচ। এরপর এই উইকেটকিপার একে একে নিয়েছেন আরও পাঁচটি ক্যাচ। বিপিএলের ইতিহাসে এক ম্যাচে সর্বোচ্চ ক্যাচ আর সর্বোচ্চ ডিসমিসালের রেকর্ড- দুটোই গড়েছেন ঢাকা প্লাটুনের এই কিপার।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) উইকেটের পেছনে জাকেরের ছয় ক্যাচের চারটি ওয়াহাব রিয়াজের বলে। হাসান মাহমুদ ও লুইস রিসের বলে নেন বাকি দুই ক্যাচ।
বিপিএলে সর্বোচ্চ পাঁচ ডিসমিসাল ছিল আফগানিস্তানের মোহাম্মদ শেহজাদ ও পাকিস্তানের উমর আকমলের। ২০১৬ সালে রংপুর রাইডার্সের হয়ে বরিশাল বুলসের বিপক্ষে ২টি ক্যাচ আর ৩টি স্টাম্পিং করেন শেহজাদ। একই বছর উমর রাজশাহী কিংসের হয়ে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে ২ ক্যাচ ও ৩ স্টাম্পিং করেছিলেন। তবে কেবল ক্যাচ নেওয়ায় এগিয়ে ছিলেন রনি তালুকদার। ২০১৫ সালে বরিশাল বুলসের হয়ে চিটাগং ভাইকিংসের বিপক্ষে ৪টি ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।
জাকের ছাড়িয়ে গেলেন এদের সবাইকে। সব ধরনের টি-টোয়েন্টিতে উইকেটকিপার হিসেবে সর্বোচ্চ ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড অবশ্য শ্রীলঙ্কার উপুল ফার্নান্দোর। দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটে এক ম্যাচে ৭ ক্যাচ নিয়েছিলেন তিনি।
ঢাকা প্লাটুনের আগের সব ম্যাচে নিয়মিত খেলা জাকের এদিন একাদশে ছিলেন না। উইকেটকিপার হিসেবে খেলা এনামুল পিঠে চোট পেলে নতুন নিয়ম অনুযায়ী বদলি উইকেটকিপার হিসেবে মাঠে নামেন তিনি।
জাকেরের ক্যাচে পরিণত হয়ে একে একে আউট হন লিটন, আফিফ হোসেন, অলক কাপালি, শোয়েব মালিক, নাহিদুল ইসলাম ও আন্দ্রে রাসেল।
এর মধ্যে মাহমুদের বলে ডান দিকে ঝাঁপিয়ে রাসেলের ক্যাচ নেওয়াটি ছিল দেখার মতো। দারুণ ক্ষিপ্র এই উইকেটকিপার পরিচয় দিয়েছেন তীক্ষ্ণ বুদ্ধিরও। ওয়াহাবের বল মালিকের গ্লাভস ছুঁয়ে জাকেরের হাতে জমা পড়লে শুরুতে আউট দেননি আম্পায়ার। জাকের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বুঝিয়ে রিভিউ নিয়ে আদায় করেন উইকেট।
Comments