‘আমাকে বৈচিত্র্যহীন একটি স্কোয়াড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে’
তড়িঘড়ি করে হওয়া নতুন আদলের বিপিএলে সব দলের ম্যানেজমেন্টই একেবারে নতুন। নতুন করে বানানো দলগুলোতে কোচিং স্টাফও তা-ই। পর্যাপ্ত সময় না পাওয়ায় অনেক কিছুই থেকেছে অগোছালো। সিলেট থান্ডারের কোচ হার্শেল গিবস যেমন প্লেয়ার্স ড্রাফটের পরে পেয়েছেন দায়িত্ব। বানাতে পারেননি পছন্দের দল। যাকে টুর্নামেন্টে ক্রমাগত হারের একটা কারণ মনে করছেন তিনি।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের প্লেয়ার্স ড্রাফটের সময় টিম স্পন্সর ও বিসিবি নিযুক্ত পরিচালকই বানিয়েছেন দল। আর এতে পরিকল্পনাহীনতার ছাপ দেখছেন গিবস। এখন পর্যন্ত ৮ ম্যাচ খেলে ৭ ম্যাচেই হেরেছে সিলেট থান্ডার। পরিকল্পনার ঘাটতিতে ভরা স্কোয়াডই দলটি ব্যর্থতার অন্যতম কারণ মনে করছেন গিবস, ‘দুর্ভাগ্যজনকভাবে, ড্রাফটের সময় আমি ছিলাম না। আমাকে একটি স্কোয়াড ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমি যদি ড্রাফটের সময় থাকতাম, অবশ্যই ভালো দুয়েকজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান দলে নিলাম। বাঁহাতি পেসার নিতাম। বৈচিত্র্য থাকত। কিন্তু আমাকে এই স্কোয়াডই দেওয়া হয়েছে।’
দলের এমন বৈচিত্র্যহীনতায় প্রতিপক্ষের কাছে ভীষণ অনুমেয় হয়ে উঠেছিল সিলেট। সহজেই যার ফায়দা তুলেছে বাকিরা, ‘কোচ হিসেবে আমি খুঁজব, কিভাবে আমরা প্রতিপক্ষের ওপর চাপ সৃষ্টি করতে পারি। আমরা যখন মাঠে নেমেছি, প্রতিপক্ষ দেখেছে যে আমাদের কেবল একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। প্রতিপক্ষের বোলারদের জন্য তাই আমাদের ব্যাটসম্যানদের চাপে রাখা সহজ হয়েছে, কারণ আমাদের সবই প্রায় ডানহাতি ব্যাটসম্যান! স্কোয়াডে কেবল একজন বাঁহাতি ব্যাটসম্যান, এমন স্কোয়াড আর কোথাও সম্ভবত দেখতে পাবেন না।’
Comments