মার্সিডিজ বেঞ্জ, প্রাডো ও পাজেরোর মূল্য ১৭ লাখ, লেক্সাসের মূল্য ৭ লাখ ৬০ হাজার!

একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি টয়োটা প্রাডো এবং একটি মিৎসুবিশি পাজেরোর মূল্য ১৭ লাখ টাকা, আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন!
নির্বাচন কমিশন

একটি মার্সিডিজ বেঞ্জ, একটি টয়োটা প্রাডো এবং একটি মিৎসুবিশি পাজেরোর মূল্য ১৭ লাখ টাকা, আপনি বিশ্বাস করুন বা না করুন!

ঢাকা দক্ষিণের জাতীয় পার্টি থেকে মনোনীত মেয়র প্রার্থী মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনের হলফনামা থেকে এমন তথ্যই জানা গেছে।

একটি বিএমডব্লিউ এবং একটি নিশান সেডানও রয়েছে তার স্ত্রীর মালিকানায়।

ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম। এই পোশাক-শিল্প ব্যবসায়ীর নিজের নামে কোনো গাড়ি নেই।

মেয়র পদে দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মোট ১৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

এর মধ্যে ৭ জন উত্তরে এবং ৬ জন দক্ষিণে।

ব্যবসায়ী আবদুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল বিএনপি থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন। একটি লেক্সাস গাড়ি রয়েছে তার। সেটির মূল্য তিনি হলফনামায় বলেছেন মাত্র ৭ লাখ ৬০ হাজার টাকা।

আওয়ামী লীগ থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে (ডিএসসিসি) প্রার্থী হয়েছেন শেখ ফজলে নূর তাপস। তার তিনটি গাড়ি রয়েছে। যেগুলোর মোট মূল্য ১ কোটি ৬৬ লাখ টাকা।

তার স্ত্রীর একটি গাড়ির মূল্যই ১ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। হলফনামায় অবশ্য গাড়ির ব্র্যান্ড ও মডেলের নাম উল্লেখ নেই।

দক্ষিণের বিএনপি প্রার্থী অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনের কোনো গাড়িই নেই।

হলফনামায় প্রার্থীদেরকে ব্যক্তিগত তথ্য ছাড়াও তাদের আয়, আর্থিক বিবরণ এবং স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের বিবরণ উল্লেখ করতে হয়। 

প্রধান দুই দলের চারজন প্রার্থীই উচ্চশিক্ষিত। আওয়ামী লীগের তাপস ব্যারিস্টার এবং আতিকুল বাণিজ্যে স্নাতক। তাবিথ আউয়াল ইনফরমেশন সিস্টেম টেকনোলজিতে স্নাতকোত্তর এবং ইশরাক একজন প্রকৌশলী।

প্রার্থীদের মধ্যে তাপসের বাৎসরিক আয় সর্বোচ্চ ৯ কোটি ৮১ লাখ টাকা এবং তার পরেই তাবিথের আয় বাৎসরিক আয় ৪ কোটি ১২ লাখ টাকা।

সাইফুদ্দিন এবং আতিকুলের আয় বছরে যথাক্রমে ১ কোটি ৩৬ লাখ ও ১ কোটি ২৯ লাখ টাকা।

চাকরি থেকে পাওয়া বেতন, বাড়িভাড়া, ব্যবসা এবং পুঁজিবাজার থেকে ইশরাক বছরে আয় করেন ৯১ লাখ ৫৮ হাজার টাকা।

হলফনামায় আতিকুল তার এবং তার স্ত্রীর সম্পদের মোট মূল্য দেখিয়েছেন ৭ কোটি ৮৫ লাখ টাকা। আতিকের চেয়ে প্রায় ১০ গুণ বেশি সম্পদের মালিক তাবিথ আউয়াল ছাড়িয়ে গেছেন সবাইকে। তার এবং তার স্ত্রীর যাবতীয় স্থাবর-অস্থাবর সম্পদের মোট আর্থিক মূল্য ৬৮ কোটি ৬৮ লাখ টাকা।

জমা দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তাপসের স্থাবর সম্পত্তির মূল্য ২০ কোটি ৯২ লাখ এবং ইশরাকের ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

ব্যাংকের কাছে আতিকুলের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দেনা ৫৯১ কোটি টাকা; আর তাবিথের প্রতিষ্ঠানের ঋণ আছে ৩০০ কোটি টাকা।

তাপসের দায় ৪ কোটি ৬৭ লাখ টাকা এবং ইশরাকের কাছে তার মা পাবেন ৬১ লাখ টাকা। আতিকুল এবং তাবিথের বিরুদ্ধে কোনো মামলা নেই। ইশরাকের বিরুদ্ধে একটি দুর্নীতি মামলা চলছে। তাপসের নামে যে দুটি মামলা ছিলো তা সম্প্রতি খারিজ হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

9h ago