বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইরাকি বাহিনী

প্রবল বিরোধের মুখে বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী।
বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের বাইরে দাঁড়িয়ে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীর এক সদস্য। ছবি: রয়টার্স

প্রবল বিরোধের মুখে বিক্ষোভের দ্বিতীয় দিনে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাস এলাকা নিয়ন্ত্রণে নিয়েছে ইরাকের নিরাপত্তা বাহিনী।

দূতাবাস এলাকা থেকে হাজারো বিক্ষোভকারীকে সরিয়ে দিতে বুধবার (১ জানুয়ারি) কাঁদানে গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে নিরাপত্তা বাহিনী। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিক্ষোভকারীরা মার্কিন দূতাবাসের দেয়াল টপকে ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে নিরাপত্তা কর্মীরা তাদের সরিয়ে দেয়। এছাড়াও দূতাবাসে পাথর ছোড়া এবং আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিক্ষোভকারীরা। 

গত রোববার (২৯ ডিসেম্বর) ইরান সমর্থিত শিয়া গোষ্ঠী কাতাইব হিজবুল্লাহর ঘাঁটিতে মার্কিন বিমান হামলায় অন্তত ২৫ জন নিহত হন, আহত হন ৫৫ জন। এরই প্রতিবাদে মঙ্গলবার বাগদাদের গ্রিনজোনে বিক্ষোভ করেন ইরানপন্থীরা।

বুধবার দ্বিতীয়দিনের মতো কর্মসূচি পালন করতে গেলে দূতাবাসের মূল ফটক থেকে তাদের সরিয়ে দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। কাতাইব হিজবুল্লাহর মুখপাত্র বলেন, “আমরা বিক্ষোভ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি, কারণ এ আন্দোলনের বার্তা আমেরিকার কাছে পৌঁছে গেছে।”

বাগদাদে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সীমানা প্রাচীরের কাছে ইরানপন্থী বিক্ষোভকারীদের আগুন। ছবি: রয়টার্স

ইরাকে মার্কিন স্থাপনায় রকেট হামলার জন্য কাতাইব হিজবুল্লাহকে দায়ী করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র। গত সপ্তাহে রকেট হামলায় এক মার্কিন ঠিকাদার নিহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। টুইট বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “এ ঘটনার জন্য ইরানকে চরম মূল্য দিতে হবে। এটি কোনো সতর্কবার্তা নয়, এটি হুঁশিয়ারি।”

ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ট্রাম্পের টুইটের জবাবে টুইট করেন, “যুক্তরাষ্ট্র কিছুই করতে পারবে না। তারা যদি যৌক্তিক হয়, যদিও তারা তা নয়, তবে বুঝতে পারতো ইরাক, আফগানিস্তানে যে অপরাধ তারা করেছে সেজন্য তাদের প্রতি সবার ঘৃণাই তৈরি হয়েছে।”

এদিকে, বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসের নিরাপত্তায় অতিরিক্ত ৭৫০ সেনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী মার্ক এসপার। বাগদাদে উদ্ভূত পরিস্থিতি সামাল দিতে সেনা মোতায়েন বাড়ানো হচ্ছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র যেকোনো মূল্যে তার নাগরিকদের রক্ষা করবে।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago