গিবসের সমালোচনার জবাব দিলেন নাঈম

Sylhet Thunder
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বাংলাদেশের স্থানীয় ক্রিকেটাররা ইংরেজি বোঝেন না, কিন্তু না বুঝেও মাথা নেড়ে বোঝার ভান করেন। এতে তৈরি হয় যোগাযোগের গোলমাল। সিলেট থান্ডারের প্রধান কোচ হার্শেল গিবস একদিন আগে চরম বিরক্তি নিয়েই বলেছিলেন এসব কথা। তবে তার কথার সঙ্গে একমত নন থান্ডারের হয়ে খেলা অফ স্পিনার নাঈম হাসান।

এবার বঙ্গবন্ধু বিপিএলে সিলেট থান্ডারের পারফরম্যান্সের বেহাল দশা। ক্রমাগত হারতে থাকা দলটি নয় ম্যাচ খেলে জিতেছে কেবলে একটিতে। দক্ষিণ আফ্রিকার নামডাকওয়ালা আগ্রাসী ব্যাটসম্যান গিবসকে কোচ করে এনেও এমন বেহাল দশা কেন, প্রশ্ন উঠেছিল। টুর্নামেন্টের প্লে-অফে ওঠার লড়াই থেকে ছিটকে গিয়ে সিলেট পর্বে খেলতে আসার পর গণমাধ্যমে নিজের আগ্রহেই এমন কারণ জানান গিবস।

স্থানীয় ক্রিকেটারদের যা বোঝান, তারা তা বোঝেন না। এমনকি বেশির ভাগের খেলা বোঝার মতো মানসিকতাও নেই বলে হতাশা জানিয়েছিলেন গিবস।

বৃহস্পতিবারও (২ জানুয়ারি) বদলায়নি থান্ডারের দশা। এবার অল্প রান তাড়ায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে ম্যাচ জমিয়ে সুপার ওভারে গিয়ে হারে তারা। আরও একটি হারে ব্যর্থতার ভারী বোঝা মাথায় নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে গেছেন অফ স্পিনার নাঈম। অনুমিতভাবেই কোচের কথা না বোঝার প্রসঙ্গ উঠলে চেহারা অনেকটা শক্ত করে তরুণ এই অফ স্পিনারের জবাব, ‘জাতীয় দলেও কোচ আছে, ওরাও ইংরেজিতে কথা বলে, এখন বুঝে নেন আর-কি।’

কেন দলের এমন অবস্থা? দায়টা কার? এক্ষেত্রে অবশ্য নিজেদের ঘাড়েই দোষ তুলে নিয়েছেন নাঈম, ‘মাঠে তো আমরাই খেলছি, আমাদেরই দোষ।’

টুর্নামেন্টের শুরু থেকেই দল গঠনের দুর্বলতা, সিলেটের খেলোয়াড়দের শরীরী ভাষা ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। মাঠের ফলেও দেখা গেছে তার প্রতিফলন।

Comments

The Daily Star  | English

JP central office vandalised, set ablaze

A group of unidentified people set fire to the central office of Jatiyo Party in Dhaka's Kakrail area this evening

1h ago