৫ জানুয়ারি জাবি উপাচার্যের বিরুদ্ধে বিক্ষোভের ঘোষণা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
২ জানুয়ারি ২০২০, বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পার হওয়ার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে নতুন করে আন্দোলনের ঘোষণা দেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। ছবি: সংগৃহীত

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আবারও আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

আজ (৩ জানুয়ারি) সকালে আমাদের জাবি সংবাদদাতা জানিয়েছেন, আন্দোলনের অংশ হিসেবে আগামী ৫ জানুয়ারি দুপুর সাড়ে ১২টায় ক্যাম্পাসের মুরাদ চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হবে।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. ফারজানা ইসলামের বিরুদ্ধে আনা দুনীর্তির অভিযোগ তদন্ত করে গেলো বছরের ৩১ ডিসেম্বরে মধ্যে সমাধান করার যে সময়সীমা আন্দোলনকারীরা বেঁধে দিয়েছিলেন তা সমাধানহীন অবস্থায় পার হওয়ার পর নতুন আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়া হলো।

গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের কমনরুমে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগর’ ব্যানারে আন্দোলনকারী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা গণমাধ্যমে প্রকাশিত উপাচার্যের বিরুদ্ধে অর্থ কেলেঙ্কারির কোনো তদন্ত না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট (মাক্সবাদী) জাবি সংসদের সাধারণ সম্পাদক সুদীপ্ত দে বলেন, “দেশব্যাপী এতো আলোচনা-সমালোচনা ও আন্দোলনের মুখেও উপাচার্য নৈতিক বিবেচনায় পদত্যাগ না করে বরং পদ আঁকড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ বিঘ্নিত করার হীন চেষ্টায় এখনো পর্যন্ত লিপ্ত আছেন এবং একের পর এক গোষ্ঠী স্বার্থে কর্মচারী ও শিক্ষক নিয়োগ করে যাচ্ছেন।”

তিনি আরও বলেন, “এ থেকে বোঝা যায় এই দুর্নীতির পেছনেও প্রশাসনের উর্ধ্বতন ব্যক্তিদের এবং উপাচার্যের ঘনিষ্ঠদের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্যের মেলায় পরিণত হয়েছে।”

আন্দোলনকারী শিক্ষক ও পরিবেশবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক খবির উদ্দীন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠদানের পাশাপাশি আমাদেরকে আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। ইতোমধ্যে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পড়েছে। তাদের ক্ষতি যাতে না হয় সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে আমরা নতুন কর্মসূচিগুলো ঘোষণা করবো।”

“তবে, আমরা কঠোর আন্দোলনে যাবো” বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, গত চার মাস ধরে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত দুর্নীতি তদন্তের দাবিতে আন্দোলন করে যাচ্ছেন শিক্ষার্থী-শিক্ষকরা।

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago