আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকের অপব্যবহার

drug_chart-1.jpg

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, দেশে আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে মাদকাসক্ত রোগীর সংখ্যা। গত বছর প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১১৪ জন মাদকাসক্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে (রিহ্যাব)। সংখ্যাটি ২০১৮ সালে ১০৪ জন এবং ২০১৭ সালে ৬৯ জন ছিলো।

গত ৫ বছরে ৫টি সরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে ৯০ হাজার ১৩৩ জন এবং বেসরকারি ৩২৪টি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে ৫৩ হাজার ৭২০ জন চিকিৎসা নিয়েছেন।

অধিদপ্তরের তথ্যমতে, নারী মাদকাসক্তের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় বেড়েছে ৪ গুণ। ২০১৮ সালে সরকারি মাদকাশক্তি নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন ৯১ জন নারী। ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বরের মধ্যে সরকারি মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন ৩৬০ জন নারী।

জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক হেলাল উদ্দিন আহমেদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “মাদকের সহজলভ্যতার কারণেই মাদকাসক্তদের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে।”

সামাজিক অস্থিরতা, ব্যর্থতার গ্লানি, একঘেয়েমি, একাকীত্ব এবং পারিবারিক বন্ধন ভেঙে যাওয়ার কারণে অনেকেই মাদকের দিকে ঝুঁকছে, যোগ করেন তিনি।

“সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যক্তি-মানুষকে একাকী করে তোলে”, গবেষক হেলাল উদ্দিন বলেন।

মাদকদ্রব্য ও নেশানিরোধ সংস্থার (মানস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. অরূপ রতন চৌধুরীও মাদকসেবন বৃদ্ধির কারণ হিসেবে সহজপ্রাপ্যতাকেই দায়ী করেন।

তিনি বলেন, “ফোনে বা অনলাইন মাধ্যমে যে কেউ এখন ঘরে বসেই সব ধরণের মাদকদ্রব্য পেতে পারে।”

“আগের তুলনায় মাদক এখন অতোটা সহজলভ্য নয়” পুলিশের সহকারী মহাপরিদর্শক সোহেল রানা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান।

“পাচারকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পাশাপাশি পুলিশ এখন বহু সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছে। ফলস্বরূপ, এখন অনেককেই চিকিৎসা নিচ্ছে”, যোগ করেন তিনি।

গতকাল (২ জানুয়ারি) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর পালন করে ৩০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Alarming rise in drug abuse লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English

Govt divides tax authority in IMF-backed reform

An ordinance published last night disbands NBR and creates two new divisions

1h ago