মোস্তাফিজের সঙ্গে লড়াই মাথায় আনছেন না রানা
আগের দিন দুই উইকেট নিয়ে মেহেদী হাসান রানাকে টপকে টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারে চূড়ায় উঠে গিয়েছিলেন মোস্তাফিজুর রহমান। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে একদিন পরই তিন উইকেট নিয়ে নিজের সিংহাসন পুনরুদ্ধার করলেন রানা। বিপিএলে উইকেট নেওয়ায় দেশের এই দুই পেসারের টক্কর বেশ জমে উঠেছে। তবে ম্যাচ জিতিয়ে আসা রানা এই লড়াই নাকি মাথাতেই নিচ্ছেন না।
শনিবার ২৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে খুলনা টাইগার্সকে মাত্র ১২১ রানে আটকে রাখেন রানা। ১১ বল আগে ওই রান টপকে তার দল জিতেছে ৬ উইকেটের অনায়াসে ব্যবধানে।
এদিনের তিন উইকেটসহ টুর্নামেন্টে ৮ ম্যাচ খেলে রানার উইকেট দাঁড়াল ১৭টি। তারচেয়ে দুই ম্যাচ বেশি খেলে ১৬ উইকেট নিয়ে মোস্তাফিজ আছেন দুইয়ে।
এবারের বিপিএলে শুরুতে কোন দলই পাননি এই বাঁহাতি পেসার। পরে তাকে দলে নেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। চট্টগ্রাম পর্ব থেকেই দারুণ মুন্সিয়ানা দেখিয়ে আলোয় আসেন তিনি। মাঝে দু’এক ম্যাচ গড়পড়তা গেলেও ফের দেখা মিলেছে রানার ঝলক। শনিবার দারুণ দুই বলে আউট করেন মেহেদী হাসান মিরাজ আর হাশিম আমলাকে। তার বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন রবি ফ্রাইলিঙ্কও।
মিরাজ আর আমলার উইকেট ছিল চোখ ধাঁধানো। বাঁহাতি পেসারদের স্বপ্নের ডেলিভারিগুলোর একটা বল ভেতরে ঢোকানো। মিরাজ, আমলাকে বল ভেতরে ঢুকিয়েই বোল্ড করেন রানা। মিরাজকে অফ-মিডল বরাবর বল ফেলে হালকা ইন স্যুয়িংয়ে কাবু করে এলবিডব্লিও করে ফিরিয়ে দেন।
অভিজ্ঞ হাশিম আমলাকে বোল্ড করা ডেলিভারিতেও বল ঢুকেছে রানার। স্কিড করে বল ভেতরে ঢুকে অফ স্টাম্প ভেঙে নেওয়ার পর কিছুটা হতচকিত হয়ে পড়েন আমলা। ম্যাচ শেষে জানালেন ব্যাটসম্যান কে সেটা ভেবে বল করেন না, ‘বিশেষ করে আমি ব্যাটসম্যান যখন নামে,তখন চিন্তা করি না যে কে আমলা কে ওটা। আমি এসব চিন্তা করি না। আমি শুধু চিন্তা করি আমার যে স্ট্যান্ডার্ড আছে ওই অনুযায়ী বোলিং করার। ওই বোলিংটা করেই আমি সফল।’
৮ ম্যাচ খেলেই সবচেয়ে বেশি ১৭ উইকেট হয়ে গেছে। মোস্তাফিজকে লড়াইয়ে পেছনে ফেলে দিয়েছেন, তবে জাতীয় দলের তারকার সঙ্গে মাঠের টক্কর নিয়ে নাকি একদমই ভাবছেন না তিনি, গুনছেন না উইকেটের সংখ্যাও, ‘উইকেট আমি গুনছি না। একেকটা ম্যাচ আমি চিন্তা করছি। একটা ম্যাচ কিভাবে ভালো করবো সেটা চিন্তা করছি। ওভাবেই ভাবছি। সেটা (মোস্তাফিজের সঙ্গে লড়াই) আমি মাথায় আনিনি।
Comments