ক্ষোভ আর শোকে কাশেম সোলাইমানিকে শ্রদ্ধা
তীব্র ক্ষোভ ও শোকের মধ্য দিয়ে ইরানি কমান্ডার কাশেম সোলাইমানিকে শ্রদ্ধা জানালো ইরাকের লাখো মানুষ। আজ শনিবার (৪ জানুয়ারি) ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মেজর জেনারেল সোলাইমানির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সড়কে নেমে আসেন তারা। এসময় জনতা ‘আমেরিকা নিপাত যাক’ শ্লোগান দেয়।
ইরাকের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং বিশিষ্টজনেরা কাশেম সোলাইমানি ও তার সঙ্গে নিহতদের শ্রদ্ধা জানাতে আয়োজিত শোক সমাবেশে অংশ নেন।
শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় সোলেইমানির মৃত্যুর পর ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে যুদ্ধাবস্থার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনায় ওই অঞ্চলে সেনা মোতায়েন বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
হামলার বিষয়ে শুক্রবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানান, মার্কিন কূটনীতিবিদ এবং সেনাদের ওপর হামলা ঠেকাতে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ইরানের সামরিক বাহিনীর মূল ব্যক্তিকে।
ট্রাম্প বলেন, “যুদ্ধ বন্ধ করতে আমরা এ ব্যবস্থা নিয়েছি, কোনো যুদ্ধ শুরু করতে নয়।”
শনিবার বাগদাদের উত্তরাঞ্চলে ইরাকের একটি সেনাবহরে মার্কিন হামলার অভিযোগ উঠেছে। তবে বার্তা সংস্থা এএফপিকে মার্কিন জোট মুখপাত্র মাইলস ক্যাগিনস এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
শোক মিছিল
মার্কিন হামলায় নিহত ইরানের সেনাবাহিনীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জেনারেল কাশেম সোলেইমানিসহ অন্যান্যদের স্মরণে শনিবার ইরাকের পথে নামে হাজারো মানুষের ঢল। নিহতদের কফিন সঙ্গে নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয় বিক্ষুব্ধ ইরাকিরা। এসময় ইরাকের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান আদেল আবদেল মাহদি, শিয়া নেতা আমার আল হাকিম, সাবেক প্রধানমন্ত্রী নুরি আল মালিকিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব মিছিলে যোগ দেন।
কালো পোশাকে শোক সমাবেশে অংশ নেয় ইরাকিরা। এসময় ‘প্রতিশোধ’ শব্দে প্রকম্পিত হয় গোটা এলাকা।
মার্কিন সেনা মোতায়েন জোরদার
যুক্তরাষ্ট্রের কালো তালিকাভূক্ত ইরাকের আধাসামরিক বাহিনীর কায়েস আল খাজালি এবং এক সময়ের বিদ্রোহী থেকে রাজনীতিবিদ হয়ে ওঠা মোক্তাদা সাদর তাদের সেনাদের যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এ অবস্থায় পেন্টাগন কুয়েতে আরও ৩,৫০০ সেনা মোতায়েন করতে যাচ্ছে। যেখানে গত বছর ১৪ হাজার মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়।
Comments