মোস্তাফিজদের কোচ হতে বিসিবির সঙ্গে ‘আলোচনা চলছে’ গিবসনের

Ottis Gibson
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আকস্মিকভাবে শার্ল ল্যাঙ্গাফেল্ট নিজ দেশে চলে যাওয়ার পর ফাঁকা থাকা বাংলাদেশের পেস বোলিং কোচের পদে আগ্রহী ক্যারিবিয়ান ওটিস গিবসন। বঙ্গবন্ধু বিপিএলে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের প্রধান কোচ হিসেবে কাজ করা গিবসনের সঙ্গে এরমধ্যেই নাকি আলোচনা চলছে বিসিবির। 



মোস্তাফিজুর রহমানদের কোচিং করাতে আগ্রহী গিবসন নিজেই বিসিবির সঙ্গে তার আলোচনা চলার খবর নিশ্চিত করেছেন। সোমবার কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের অনুশীলনের পর গিবসন জানান পেস বোলিং কোচের পদ নিয়ে তার সঙ্গে কথাবার্তা চলমান বিসিবির,   ‘হ্যাঁ আলোচনা চলছে। আলোচনা চলমান এটা আমি অস্বীকার করব না। এটা আরও লম্বা প্রক্রিয়া আছে, তবে আলোচনা তো চলছেই।



নব্বুইয়ের দশকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা গিবসন বেশি সফল ছিলেন প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে। খেলেছেন ইংলিশ কাউন্টি ক্লাব গ্ল্যামারগন, লিস্টাশায়ারের মতো দলে। প্রথম শ্রেণীতে সাড়ে ছয়শোর বেশি উইকেটও আছে তার। 



খেলা ছাড়ার পর কোচিং প্রোফাইলও বেশ ভারি গিবসনের। ২০০৭ সালে ইংল্যান্ডের পেস বোলিং কোচ হিসেবে কাজ করেছেন। ছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রধান কোচ। সবশেষ কাজ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রধান কোচ হিসেবে।  বোলিং কোচ হিসেবে বাংলাদেশের দায়িত্ব পেতেও মুখিয়ে আছেন তিনি, ‘অবশ্যই আমি আগ্রহী। আমি ক্রিকেট ভালোবাসি, বোলিং কোচিং করতে চাই। যদি তরুণ পেসারদের সাহায্য করার সুযোগ পাই, আমি লুফে নেব।’



এবার বিপিএলে কুমিল্লার হয়ে কোচিং করাতে এসে স্থানীয় পেসারদের সঙ্গে এরমধ্যেই কিছু সম্পর্ক গড়ে তুলেছেন বলে জানান গিবসন, বাংলাদেশের দায়িত্ব পেতে সব মিলিয়ে ইতিবাচক অবস্থানে তিনি, ‘আমি কিছু খেলোয়াড়কে চিনি এরমধ্যে। আল-আমিন আমাদের দলেই খেলছে, সে জাতীয় দলের পেসার। একধরণের সম্পর্ক এরমধ্যে হয়ে গেছে। আমি তরুণ বোলার এবং অভিজ্ঞদের নিয়েও কাজ করতে চাই। সেরকম সুযোগ হলে অবশ্যই আমি ইতিবাচকভাবে দেখব।’



বিশ্বকাপের পর কোর্টনি ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তি শেষ করে বিসিবি। এরপর দক্ষিণ আফ্রিকান শার্ল ল্যাঙ্গাফেল্টকে এই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে কোচিং করানোর প্রস্তাব পেয়ে  গত ১৭ ডিসেম্বর তিনিও বিদায় নিলে আবার ফাঁকা হয়ে যায় পেস বোলিং কোচের পদ।

Comments

The Daily Star  | English

Bangladesh Bank signals market-based exchange rate regime

The central bank will allow the exchange rate of the dollar to be determined by market forces

56m ago