মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, উপসাগরীয় অঞ্চলে উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ
ইরাকে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিগুলোতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা করেছে ইরান। এই হামলাকে শীর্ষ ইরানী জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রথম পর্যায় হিসেবে উল্লেখ করেছে ওয়াশিংটন এবং তেহরান।
এই হামলার প্রেক্ষিতে ইরাক, ইরানসহ উপসাগরীয় অঞ্চলে মার্কিন বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আমেরিকান ফেডারেল এভিয়েশন প্রশাসন (এফএএ) গতকাল (৭ জানুয়ারি) বলেছে, ইরাকে মার্কিন বাহিনীর উপর ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরে যুক্তরাষ্ট্রে নিবন্ধিত সব উড়োজাহাজ চলাচল সংস্থাকে ইরাক, ইরান এবং উপসাগরীয় অঞ্চলের উপর দিয়ে উড়তে নিষেধ করা হয়েছে।
এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “এফএএ আজ রাতে বিমান চলাচলের বিধিনিষেধের উপর একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। বিজ্ঞপ্তিতে সব মার্কিন বেসামরিক উড়োজাহাজ চলাচল সংস্থাকে ইরাক, ইরান এবং পারস্য ও ওমান উপসাগরের সীমানা দিয়ে চলাচল করতে নিষেধ করা হয়েছে।”
“এফএএ মধ্যপ্রাচ্যের ঘটনাকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে”, বলেও বিবৃতিতে বলা হয়েছে।
All is well! Missiles launched from Iran at two military bases located in Iraq. Assessment of casualties & damages taking place now. So far, so good! We have the most powerful and well equipped military anywhere in the world, by far! I will be making a statement tomorrow morning.
— Donald J. Trump (@realDonaldTrump) January 8, 2020
ট্রাম্পের টুইট
ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর টুইট করেছেন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্প। আজ সকালে টুইট বার্তায় তিনি বলেন, “সব ঠিক আছে! ইরাকের দুটি মার্কিন ঘাঁটিতে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে। সেখানে ক্ষয়ক্ষতি পর্যালোচনা করা হচ্ছে।”
“আমাদের সেনাবাহিনী খুবই শক্তিশালী এবং পৃথিবীর সব জায়গায় সুসজ্জিত অবস্থায় আছে,” বলেও ট্রাম্প টুইট বার্তায় উল্লেখ করেন।
ইরাকের মার্কিন সেনা ঘাঁটিতে ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলা
ইরাকে মার্কিন জোট বাহিনীর ঘাঁটিতে এক ডজনেরও বেশি ব্যালাস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পর প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিয়ে কাজ করছে পেন্টাগন।
পেন্টাগন জানিয়েছে, “এটা স্পষ্ট যে, ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্রগুলি মার্কিন সামরিক বাহিনী ও জোটের কমপক্ষে দুটি ইরাকি সামরিক ঘাঁটি আল-আসাদ ও ইরবিল লক্ষ্য করে ছোড়া হয়েছিলো।”
হতাহতের বিষয়ে তাত্ক্ষণিকভাবে কোনও তথ্য পাওয়া যায়নি তবে পেন্টাগন বলেছে, গত কয়েকদিন ধরে ক্রমাগত উত্তেজনা ও যুদ্ধের হুমকির আদান-প্রদানের মধ্যে এমন কিছু ঘটতে পারে এবং সেজন্যে আমরা প্রস্তুত ছিলাম।
পেন্টাগনের একজন মুখপাত্র বলেছেন, “ইরানের এই হামলা এ অঞ্চলে আমাদের সামরিক বাহিনী ও স্বার্থকে আক্রমণ করার ইঙ্গিত। ঘাঁটিগুলোতে সর্বোচ্চ সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
গত ৩ জানুয়ারি মার্কিন ড্রোন হামলায় ইরানের শীর্ষ জেনারেল কাশেম সোলাইমানি হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে হামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন।
ইরান বলেছে, তারা যুদ্ধের পথে হাঁটতে চায় না। ক্ষেপণাস্ত্র হামলাকে ইরান “আত্মরক্ষার সমানুপাতিক ব্যবস্থা” হিসেবে উল্লেখ করেছে।
আরও পড়ুন:
১৮০ জন যাত্রী নিয়ে ইউক্রেনের উড়োজাহাজ তেহরানে বিধ্বস্ত
সোলাইমানির দাফনে পদদলিত হয়ে ৩৫ জনের মৃত্যু
পেন্টাগন-ট্রাম্প পরস্পরবিরোধী বক্তব্য
ইরানের সাংস্কৃতিক স্থাপনায় হামলার হুমকিতে অনড় ট্রাম্প
সেনা প্রত্যাহারের চিঠি ‘ভুল’ ইরাক ছাড়ার পরিকল্পনা নেই: পেন্টাগন প্রধান
Comments