আবেগকে পাত্তা দেন না মুশফিক!
মাঠে খেলার মাঝেই আবেগপ্রবণ হয়ে যান। অনেক সময়ই তা পেশাদার মোড়কে বেধে রাখতেও পারেন না মুশফিকুর রহিম। জাতীয় দলের ম্যাচে তার আবেগ দেখা গেছে একাধিকবার। আগের বিপিএলগুলোতেও মাঝপথে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা একধিকবার আছে মুশফিকের। কিন্তু মুশফিকের দলে টানা দুই মৌসুম খেলা দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার রবি ফ্রাইলিঙ্ক বলছেন ভিন্ন কথা। মুশফিক নাকি আবেগকে খুব একটা পাত্তা দেন না।
বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে মুশফিকের খুলনা টাইগার্স ৩৪ রানে হারায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সকে। দলকে জেতাতে ব্যাট হাতে ১৭ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। রাইলি রুশো করেন ৩৬ বলে ৭১ রান। তাতে ২০ ওভারে ১৭৯ রান করে তারা। তবে ব্যাটসম্যানদের দ্যুতি ছাপিয়ে দুর্দান্ত বোলিংয়ে সব আলো পরে কেড়ে নেন ফ্রাইলিঙ্ক।
৪ ওভার বল করে ১৬ রান দিয়ে তুলে নেন ৫ উইকেট। তার তোপেই ১৪৫ রানে গুটিয়ে যায় কুমিল্লা। এবার বিপিএলে মুশফিকের নেতৃত্বে ভালোই করছে খুলনা। ১০ ম্যাচের ছয়টা জিতে পরের রাউন্ডে যাওয়ার দৌড়ে বেশ ভালোভাবেই এগিয়ে আছে তারা।
মুশফিকের অধীনে গত বিপিএলেও চিটগং ভাইকিংসের হয়ে খেলেছিলেন ফ্রাইলিঙ্ক। দল খুব একটা ভালো করেনি, অধিনায়কও মাঝপথে ছেড়ে দিয়েছিলেন দায়িত্ব। সে সময় তার এই সিদ্ধান্ত অনেকটা আবেগী বলেও দেখা হচ্ছিল। তবে ফ্রাইলিঙ্ক অধিনায়ক মুশফিককে দেখছেন বাস্তবতার নিরিখে, ‘মুশফিকের সঙ্গে গত বছরও আমি চিটাগং ভাইকিংসে খেলেছি। আমি তার ধরন জানি। সে জ্ঞান সম্পন্ন খেলোয়াড়, তার কৌশল চমৎকার। দলের মিটিংয়ে সে অনেক তথ্যবহুল কথাবার্তা বলে, কৌশল ঠিক করে, ফিল্ডিংয়ের সময়ও অনেক কথা বলে। আপনি কখনো মুশফিকের আবেগ চূড়ায় দেখবেন না। সে সবাইকে বাস্তবতায় রাখে। তার অধীনে খেলা উপভোগ করছি।’
Comments