সরকারি সুবিধাভোগী গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশ নিলে ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ নষ্ট হবে: মাহবুব তালুকদার
আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম ও প্রচারকার্যে সংসদ সদস্যরা কীভাবে অংশ নিচ্ছেন তা বোধগম্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার।
সিটি করপোরেশনের নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুযায়ী ‘সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি’ বলতে বোঝায় প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, মন্ত্রী, চিপ হুইপ, ডেপুটি স্পিকার, বিরোধীদলীয় নেতা, সংসদ উপনেতা, বিরোধী দলীয় উপনেতা, প্রতিমন্ত্রী, হুইপ, উপমন্ত্রী বা সম মর্যাদার কোনো ব্যক্তি, সংসদ সদস্য বা সিটি করপোরেশনের মেয়র।
আজ (৯ জানুয়ারি) ‘ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যদের নির্বাচনী প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে’ শিরোনামে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে পাঠানো চিঠিতে তিনি বলেছেন, “সরকারি সুবিধাভোগী অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি এই নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করলে সবার জন্য সমান সুযোগ বা ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড’ বিনষ্ট হবে। অন্যদিকে এতে নির্বাচন কমিশনের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।”
“নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা কঠোরভাবে পরিপালন করা একান্ত আবশ্যক” বলেও মনে করেন তিনি।
“আমি উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করেছি যে, আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের কার্যক্রম ও প্রচারকার্যে মাননীয় সংসদ সদস্যগণ অংশগ্রহণ করছেন। এটি সিটি কর্পোরেশন (নির্বাচন আচরণ) বিধিমালা, ২০১৬-এর লঙ্ঘন। উক্ত বিধিমালায় উল্লেখ করা হয়েছে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ‘নির্বাচন-পূর্ব সময়ে নির্বাচনী এলাকায় প্রচারণা বা নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করিতে পারিবেন না।’ এমতাবস্থায় তারা কীভাবে এই নির্বাচনী কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করছেন, তা বোধগম্য নয়,” যোগ করেন নির্বাচন কমিশনার।
তিনি আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সংসদ সদস্যরা যাতে অংশগ্রহণ না করেন, সে বিষয়ে জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানান।
Comments