বিস্ফোরক সেঞ্চুরিতে জড়তা কাটিয়ে উদ্ভাসিত শান্ত

নাজমুল হোসেন শান্ত যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক রহস্যের নামই হয়ে যাচ্ছিলেন। পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ধাপ পেরিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললেও সামর্থ্যের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারছিলেন না। বিপিএলেও ছিলেন জড়সড়ো, শম্বুক গতির এক ব্যাটসম্যান। অথচ সেই তিনিই এবার ৫১ বলে সেঞ্চুরিতে সব ঠেলে সরিয়ে নতুনভাবে উদ্ভাসিত হয়েছেন। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যেন জানান দিলেন তাকে নিয়ে উপসংহারে পৌঁছানোর সময় এখনো হয়নি।
Nazmul Hossain Shanto
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

নাজমুল হোসেন শান্ত যেন বাংলাদেশের ক্রিকেটে এক রহস্যের নামই হয়ে যাচ্ছিলেন। পর্যায়ক্রমে সব ধরনের ধাপ পেরিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায়ে খেললেও সামর্থ্যের ছিটেফোঁটাও দেখাতে পারছিলেন না। বিপিএলেও ছিলেন জড়সড়ো, শম্বুক গতির এক ব্যাটসম্যান। অথচ সেই তিনিই এবার ৫১ বলে সেঞ্চুরিতে সব ঠেলে সরিয়ে নতুনভাবে উদ্ভাসিত হয়েছেন। এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান যেন জানান দিলেন তাকে নিয়ে উপসংহারে পৌঁছানোর সময় এখনো হয়নি।

৫১ বলে সেঞ্চুরি করার পর ৫৭ বলে ৮ চার ৭ ছক্কায় শান্ত খেলেছেন ১১৫ রানের বিস্ফোরক ইনিংস। বাংলাদেশের প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) এর সাত আসরের মধ্যে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানদের মধ্যে মাত্র পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে সেঞ্চুরি এলো শান্তর ব্যাটে। এর আগে শাহরিয়ার নাফীস, মোহাম্মদ আশরাফুল, সাব্বির রহমান ও তামিম ইকবাল বিপিএলে সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। এবারের বিপিএলে এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। আগের দুই সেঞ্চুরি এসেছিল ডেভিড মালান আর আন্দ্রে ফ্লেচারের ব্যাটে।

শান্তর অমন অশান্ত হওয়ার দিনে ঢাকা প্লাটুনের ২০৫ রানের লক্ষ্যও হয়ে যায় যেন মামুলি। তা পেরিয়ে খুলনা টাইগার্স জিতেছে ৮ উইকেটে। খেলা শেষ করেছে ১১ বল হাতে রেখেই।

বিপিএলের অভিষেকে ফিফটি ছিল তার। কিন্তু এরপর ছিলেন মরীচিকা। আগের বিপিএলগুলোর মতো এবারের বিপিএলেও নিষ্প্রভ ছিল শান্তর ব্যাট। টুর্নামেন্টে আট ম্যাচ খেলার সুযোগ পেয়ে তার স্কোরগুলো ছিল এমন- ৪,০, ১, ০, ৩০, ৪১, ৩৮, ১। আগের আট ইনিংসে ১১৫ রান করেছিলেন। এদিনই এক ম্যাচেই করলেন ১১৫!

শনিবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উইকেট ছিল বেশ ভালো। তবু ২০৬ রান তাড়া করা যেকোনো উইকেটেই কঠিন। মেহেদী হাসান মিরাজকে নিয়ে ওপেনিং জুটিতে কাজটা সহজ করে দেন শান্ত।

শুরুতে অবশ্য তিনি ছিলেন প্ব্বার্শ নায়কের ভূমিকায়। মিরাজের বেদম মারের সঙ্গে শান্ত ছিলেন নামের মতই স্থির। প্রথম ১১ বলে করেন ১০। ততক্ষণে মিরাজের ব্যাট উত্তাল। ওভারপ্রতি ১০ করে রান নিয়ে খুলনার উড়ন্ত সূচনা। পরে ডানা মেলা শুরু করেন শান্ত। তাদের ৭০ রানে উদ্বোধনী জুটি ভাঙে ২৫ বলে ৪৫ করে মিরাজের আউটে।

এরপর পুরোটাই শান্তর গল্প। রাইলি রুশোর সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে আরও ৮১ রানের জুটি আসে তার। তাতে রুশোর অবদান কেবলই ২৩। অফ স্পিনারকে উড়ান মিড উইকেট দিয়ে, পেসারদের বল কাভার দিয়ে পার করেন সীমানা। একের পর এক ছক্কায় মাত করেন গ্যালারি।  

 

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago