ইউক্রেনের উড়োজাহাজ ভূপাতিত

নিজের মৃত্যু কামনা করেছি: ইরানি কমান্ডার

ইউক্রেনের যাত্রীবাহি বিমান ভুল করে ভূপাতিত করার ঘটনায় নিজের মৃত্যু কামনা করেছিলেন দেশটির ইসলামিক রেভ্যুলুশন গার্ডস কোর (আইআরজিসি) এর বিমান বাহিনীর প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ।
ইসলামিক রেভোলিউশনারি গার্ডের এরোস্পেস ফোর্সের কমান্ডার আমির আলি হাজিজাদেহ ইউক্রেনের উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার দায় নিয়েছেন। ছবি: তেহরান টাইমস

ইউক্রেনের যাত্রীবাহি বিমান ভুল করে ভূপাতিত করার ঘটনায় নিজের মৃত্যু কামনা করেছিলেন দেশটির ইসলামিক রেভ্যুলুশন গার্ডস কোর (আইআরজিসি) এর বিমান বাহিনীর প্রধান আমির আলি হাজিজাদেহ।

শনিবার (১১ জানুয়ারি) তেহরানে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, “পশ্চিমাঞ্চলে মার্কিন ঘাঁটিতে সামরিক অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে যখন নিশ্চিত হই এই ঘটনার বিষয়ে, মনে হচ্ছিল আমার মৃত্যু হোক।”

উড়োজাহাজ ভূপাতিতের সব দায় নেন হাজিজাদেহ। জানান, ঘটনার পরপরই সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জানানো হয়। তবে সামরিক বাহিনীর তদন্তের কারণে ঘোষণা আসতে কিছুটা সময় নেয়।

তিনি বলেন, আইআরজিসির সদস্য কিংবা সামরিক বাহিনী কেউই এ ঘটনা চাপা দেয়ার চেষ্টা করেনি। তবে সবকিছুরই একটি প্রক্রিয়া আছে।” ইরানের রাষ্ট্রীয় টিভির উদ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছে তেহরান টাইমস।

হাজিজাদেহ জানান, ইরানের উড়োজাহাজ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে ‘সর্বোচ্চ স্তরের প্রস্তুতি’ নিতে বলা হয়েছিল এবং সম্ভাব্য ক্ষেপণাস্ত্র হামলার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “ঘটনার রাতে বারবার ওই অঞ্চল দিয়ে উড়োজাহাজ চলাচল বন্ধ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল।”

তিনি বলেন, “ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হিসেবে সংকেত এসেছিল ইউক্রেনের উড়োজাহাজটিকে। সংকেত পাওয়া এবং উড়োজাহাজটিকে ক্ষেপণাস্ত্র মনে করে আঘাত করার সিদ্ধান্ত নিতে মাত্র ১০ সেকেন্ড সময় হাতে ছিল।”

তিনি বলেন, “ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং ইরানের আদালত এ ঘটনার বিচার করবেন। যে শাস্তিই দেয়া হবে আমরা তা মেনে নেব।”

বুধবার (৮ জানুয়ারি) তেহরান থেকে কিয়েভের উদ্দেশে রওনা দেয়ার কয়েক মিনিটের মধ্যেই ১৭৬ আরোহীসহ ইউক্রেনীয় উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয়। নিহত হয় উড়োজাহাজের সবাই। ঘটনার তিন দিন পর উড়োজাহাজ ভূপাতিত করার দায় স্বীকার করে ইরান।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago