ফিলিপাইনে আগ্নেয়গিরি বিস্ফোরণ: বন্ধ ম্যানিলা বিমানবন্দর
ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছে ‘টাল’ আগ্নেয়গিরি থেকে অগ্নুৎপাত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিপাইন ইন্সটিটিউট অব ভলকানোলজি এন্ড সিসমোলজি।
গতকাল (১২ জানুয়ারি) আগ্নেয়গিরি থেকে প্রচুর পরিমাণে বাষ্প ও ছাই ছড়িয়ে পড়ে। নিরাপত্তার জন্য কর্তৃপক্ষ দ্রুত ওই অঞ্চল থেকে কয়েক হাজার মানুষকে সরিয়ে নিয়েছে। বন্ধ রেখেছে ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।
এই ঘটনায় তাৎক্ষণিক হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
ফিলিপাইন ইন্সটিটিউট অব ভলকানোলজি এন্ড সিসমোলজি জানিয়েছে, টাল আগ্নেয়গিরির বাষ্প, ছাই এবং নুড়ি বাতাসে প্রায় ১০ থেকে ১৫ কিলোমিটার পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়েছে।
আগ্নেয়গিরি ইনস্টিটিউটের প্রধান রেনাটো সলিডাম বলেছেন, “কয়েক ঘণ্টা বা দিনের মধ্যেই বিপদজনক বিস্ফোরণ ঘটাতে পারে।”
“আগ্নেয়গিরির বিপদের সর্বোচ্চ মাত্রা ধরা হয় ৫,” উল্লেখ করে ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, বিপদের মাত্রা ৪ নম্বর স্তরে পৌঁছেছে। অর্থাৎ, আগ্নেয়গিরিতে বিপদজনক বিস্ফোরণ চলছে এবং সেই বিস্ফোরণ বেশ বড় অঞ্চলকে প্রভাবিত হতে পারে।
বার্তা সংস্থা এপি জানিয়েছে, গতরাতে ম্যানিলার আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রানওয়ে হালকা ছাইয়ের আবরণ পড়েছে। সে কারণে ফিলিপাইনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ সেখান থেকে আন্তর্জাতিক এবং অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট স্থগিত করেছে।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, তারা ম্যানিলার বাইরে অব্যবহৃত বিমানবন্দরে ফ্লাইটগুলো সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছে।
আগ্নেয়গিরি থেকে কয়েক কিলোমিটার দূরের শহরেও ভারী থেকে হালকা ছাইয়ের আবরণ পড়ার সংবাদ জানা গিয়েছে।
বাতাসে ছড়িয়ে পরা ছাই থেকে স্বাস্থ্য ঝুঁকির কথা বিবেচনা করে ম্যানিলা ও এর আশপাশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ রাখা হয়েছে।
বিশ্বের অন্যতম ছোট আগ্নেয়গিরির একটি ‘টাল’, যা ফিলিপাইনের প্রায় দুই ডজন জীবন্ত আগ্নেয়গিরির একটি। প্রতি বছর প্রায় ২০টি টাইফুন বা ঝড় ফিলিপাইনে আঘাত হানায় এটি বিশ্বের অন্যতম দুর্যোগপ্রবণ দেশে পরিণত হয়েছে।
Comments