১৪ সেলাই নিয়েও মাঠে মাশরাফি
বাম হাতের তালুতে ১৪টি সেলাই পড়েছে ৪৮ ঘণ্টাও হয়নি। তারপরও মাশরাফি বিন মর্তুজা অদম্য মনোবল নিয়ে নামতে যাচ্ছেন ২২ গজে। বাঁচা-মরার ম্যাচে বেশ ঝুঁকি নিয়েই খেলতে নামছেন ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে মুখোমুখি হতে যাচ্ছে ঢাকা প্লাটুন ও চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। খেলা শুরু হবে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে। এ ম্যাচের জয়ী দল টিকে থাকবে লড়াইয়ে। আর পরাজিত দল বিদায় নেবে আসর থেকে।
এরই মধ্যে হয়ে গেছে টস। জিতেছে চট্টগ্রাম, তারা বেছে নিয়েছে ফিল্ডিং। দলের হয়ে টস করতে এসে মাশরাফি বুঝিয়ে দেন, চোট উপেক্ষা করেই তিনি খেলছেন।
গেল শনিবার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলি ও তর্জনীর মাঝে চোট পান মাশরাফি। একাদশ ওভার চলাকালে মেহেদী হাসানের বল উড়িয়ে মেরেছিলেন খুলনা টাইগার্সের রাইলি রুশো। কাভারে ক্যাচ নিতে বামদিকে ঝাঁপিয়েছিলেন মাশরাফি। ক্যাচ হাতে জমাতে পারেননি। বরং বলের আঘাতে রক্তাক্ত হাত নিয়ে ব্যথার তীব্রতায় মাঠ ছাড়তে হয় তাকে। পরে তার হাতে দেওয়া হয় ১৪টি সেলাই। কিন্তু সেলাই দেওয়ার সময়ই মাশরাফি বলেছিলেন, তিনি মাঠে নামতে মরিয়া।
এরপর ঢাকার ম্যানেজার আহসানুল্লাহ হাসান দ্য ডেইলি স্টার’কে জানিয়েছিলেন, হাতে ১৪টি সেলাই থাকলেও খেলার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মাশরাফি, ‘আপনারা তো তাকে চেনেন। তিনি লড়াকু মানুষ। সেলাই নিয়েও তিনি খেলতে চাইছেন। তিনি মাঠে নামতে মরিয়া। অনেক সময় অনেক রকম সিদ্ধান্ত নিতে হয়। যেহেতু মাশরাফির বোলিংয়ের হাত না, তাই আমরা আলাপ করে দেখব কী করা যায়।’
চোটের সঙ্গে মাশরাফির রয়েছে পুরনো সখ্যতা। লম্বা ক্যারিয়ারে বহুবার চোটের সঙ্গে লড়াই করতে হয়েছে তাকে। প্রতিবারই নিবেদন আর তাড়না দেখিয়ে তিনি ফিরেছেন মাঠে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি।
সেলাই মাশরাফির বোলিংয়ের হাতে নয়, তবে শঙ্কা থাকছেই। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী আগের দিন বলেছিলেন, ‘খেললে ঝুঁকি থাকবে। সেটা মাথায় নিয়েই খেলতে হবে।’
Comments