বিপর্যস্ত ঢাকাকে লড়াইয়ের পুঁজি দিলেন শাদাব

মন্থর উইকেটে নেমে রায়াড এমরিট, রুবেল হোসেনদের তোপে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা প্লাটুন। এক পর্যায়ে একশো রানের মধ্যেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা। চরম বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধার করেন শাদাব খান। দারুণ ব্যাটিংয়ে এই অলরাউন্ডার দলকে পাইয়ে দেন লড়াইয়ের পূঁজি।
Shadab Khan
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মন্থর উইকেটে নেমে রায়াড এমরিট, রুবেল হোসেনদের তোপে শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ঢাকা প্লাটুন। এক পর্যায়ে একশো রানের মধ্যেই গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় পড়ে তারা। চরম বিপর্যস্ত অবস্থা থেকে দলকে উদ্ধার করেন শাদাব খান। দারুণ ব্যাটিংয়ে এই অলরাউন্ডার দলকে পাইয়ে দেন লড়াইয়ের পূঁজি।

সোমবার মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ঢাকা প্লাটুন করেছে  ১৪৪ রান । ৪১ বলে ৫ চার ৩ ছক্কায় ৬৪ রান করে ঢাকার বেহাল দশায় অক্সিজেন জুগিয়ে মাত করেছেন পাকিস্তানি শাদাব খান। কাজে লেগেছে মুমিনুলের ৩১ বলে ৩১, ১৩ বলে ২৫ করে রান রেট বাড়িয়ে দেওয়ার কাজ করেন থিসারা পেরেরাও। এই তিনজন ছাড়া ঢাকার আর কেউ পেরুতে পারেননি দুই অঙ্কও।  নিংসের অর্ধেক পথে তাই ৬০ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চরম বিব্রতকর অবস্থায় ছিল তারা।

উইকেট কিছুটা মন্থর, বল আসছিল থেমে। অনুমিতভাবেই টস জিতে ঢাকা প্লাটুনকে ব্যাট করতে দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। খেলা জেতার সবচেয়ে বড় কাজটা বোধহয় হয়ে গিয়েছিল তখনই।

এমন উইকেট প্রথম কয়েক বল ভুগতে হয় অনেক। সেই পরীক্ষায় মুমিনুল হক-তামিম ইকবালের শুরুটা হয়নি মনমতো।  রান বের করতে না পেরে হাঁসফাঁস করছিলেন তামিম ইকবাল। জড়তা কাটাতে রুবেলের বলে তেড়েফুঁড়ে মারতে বেরিয়ে গেলেন। কিন্তু বলের লাইন, গতি কোন কিছুই পিক করতে পারলেন না। সোজা ভেঙে গেল তার স্টাম্প।

১০ বলে ৩ রান করেই বিদায় নেন তিনি। এরপর মিডল অর্ডার তছনছ হয়ে যায় ঢাকার। এনামুল হক বিজয়, লুইস রিস আর মেহেদী হাসান প্রত্যেকেই ক্রিজে এসে কয়েক বল খেলে ধুঁকেছেন এবং ফিরেছেন দৃষ্টিকটুভাবে।

বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের বলে এনামুল ক্যাচ দেন রুবেলের হাতে। ৯ বল খেলে ৭ রান করে মেহেদী রায়াড এমরিটের শিকার হন মেহেদী। এমরিটের বলেই জাকের আলি অনিকের ক্যাচ দারুণভাবে লাগিয়ে গ্লাভসে জমান নুরুল হাসান সোহান।

ভরসা হয়ে টিকেছিলেন কেবল মুমিনুল। ৩১ বলে ৩১ করে উইকেটের পেছনে তার ক্যাচও যায় এমরিটের বলে। পাকিস্তানি আসিফ আলি পালটা আক্রমণ করতে গিয়েছিলেন নাসুমের বলে। কিন্তু মারতে গিয়ে বল পার করতে পারেননি মিড অনও। ৬০ রানেই তারা হারিয়ে বসে ৭ উইকেট। এরপর দলের হাল ধরেন শাদাব খান। বাকি অংশে বেশিরভাগ রান আনেন তিনিই। মাঝে থিসারা পেরেরা উঠে ১৩ বলে ২৫ করে ভদ্রস্থ করে দিয়ে যান রানরেট।

শাদাব খেলেছেন শেষ পর্যন্ত। এক প্রান্ত ধরে থিতু হয়েছেন শুরুতে, উইকেটের ভাষা পড়েছেন, দলের অবস্থান বুঝে পরে চালিয়ে রান বাড়িয়েছেন দ্রুত। শেষ ওভারেই জিয়াউর রহমানকে পিটিয়ে তুলেছেন মহামূল্যবান ২২ রান।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৪৪/৮    (তামিম ৩, মুমিনুল ৩১ ,  এনামুল ০, লুইস ০, মেহদি ৭, জাকের ০, শাদাব ৬৪* , আসিফ ৫, থিসারা ২৫, মাশরাফি ০* ; রুবেল ২/৩৩ , রানা ০/২৯ , নাসুম ২/১১, মাহমুদউল্লাহ ১/৫, এমরিট ২/২৩, জিয়া ০/৩৯)

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

4h ago