কারও কথায় খেলা ছাড়ার পক্ষপাতী নই, মাশরাফি প্রসঙ্গে মাহমুদউল্লাহ

Mahmudullah
ছবি: বিসিবি

মাশরাফি বিন মর্তুজা অবসর নিচ্ছেন না-কি নিচ্ছেন না? যদি অবসর নেন, তাহলে কবে আসবে ঘোষণা? অনেক দিন থেকেই এমন সব প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে। সম্প্রতি মাশরাফির অবসরের আলাপ-আলোচনা আরও চড়া হতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) জানিয়েছে, তারা মাশরাফিকে ঘটা করে বিদায় দিতে তৈরি। তবে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ভাবনাটা অন্য রকম। তার মতে, অন্যের কথায় নয়, নিজের একান্ত অনুভূতি থেকে বিদায় বলার সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত একজন ক্রিকেটারের।

সোমবার (১৩ জানুয়ারি) মিরপুরে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের এলিমিনেটর ম্যাচে ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে ৭ উইকেটে জয়ের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকে কথা বলতে হয়েছে মাশরাফির অবসর প্রসঙ্গ নিয়ে।

ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেছেন, অবসরের যাওয়া-না যাওয়া মাশরাফির নিজস্ব বিষয়, ‘প্রথমত, আমি যেভাবে চিন্তা করি, এটা (অবসরে যাওয়া) পুরোটা মাশরাফি ভাইয়ের সিদ্ধান্ত। এটা নিয়ে তার সঙ্গে আমার দু-একবার কথা হয়েছে। কিন্তু আমি এটা নিয়ে কথা বলতে পারব না। কারণ একটা ব্যক্তিগত বিশ্বাসেরও জায়গা আছে। তাকে না জানিয়ে আমি এটা শেয়ার করতে পারি না।’

মাহমুদউল্লাহর মতে, তারা কারও কথায় নয়, নিজেদের ভালোলাগা-ভালোবাসা থেকে ক্রিকেট খেলা শুরু করেছেন, তাই ছাড়ার বিষয়টিও তাদের হাতে ছেড়ে দেওয়া উচিত, ‘যখন আমরা ক্রিকেট খেলা শুরু করেছি, আমরা ভালোবেসে খেলেছি। এটা এখন আমার পেশা হয়ে গিয়েছে। শুরু থেকে কখনো ভাবিনি যে আমি ক্রিকেটারই হব। আমি ভালোবেসেছি, আমি খেলেছি, এরপর ক্রিকেট আমার পেশা হয়েছে... তো কারও কথায় আমি খেলা শুরু করিনি, আর কারও কথায় আমি খেলা ছাড়ার পক্ষপাতী না।’

মাহমুদউল্লাহ যোগ করেছেন, খেলা চালিয়ে যেতে না পারলে একজন ক্রিকেটার নিজ থেকেই অবসরে যেতে পারেন, এখানে দায়বদ্ধতা তার-ই, ‘যখন আমার মনে হবে যে আমার পক্ষে খেলা সম্ভব না, তখন আমি আর খেলব না। কারণ এটা একান্তই আমার বিষয়, আমার ক্রিকেট। দায়বদ্ধতা তাই আমার-ই থাকা উচিত। আমি বিষয়টাকে এভাবে দেখি। আমার মনে হয়, মাশরাফি ভাইও এভাবে দেখেন। কারণ তিনি অনেক বছর ধরে ক্রিকেট খেলছেন।’

Comments

The Daily Star  | English

BDR carnage rooted in 'long-term plot', says investigation commission

It was abetted by intelligence failures, gross negligence, and the involvement of several political figures, according to the commission chief

29m ago