অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে যুবাদের ম্যাচ রোমাঞ্চকর টাই
ম্যাচ জিততে শেষ ওভারে ১১ রান দরকার ছিল অস্ট্রেলিয়ার। শরিফুল ইসলামের করা ওই ওভারে প্রথম তিন বল থেকেই এক ছক্কায় অসিরা নিয়ে নেয় ৯ রান। এরপরই প্রেক্ষাপট বদল। চতুর্থ বল ডট করার পর পঞ্চম বলে তানভীর সাঙ্গাকে আউট করে দেন শরিফুল। শেষ বলে জেতার জন্য প্রয়োজনীয় ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হয়ে যান টড মরফি। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল ভাসে উচ্ছ্বাসে।
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় যুব বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচে ৪৩ ওভারে বাংলাদেশ করেছিল ২৫০ রান, পুরো ওভার খেলে অস্ট্রেলিয়াও থামে একই রানে।
বৃষ্টির কারণে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচ নেমে আসে ৪৩ ওভারে। তাতে টস জিতে আগে ব্যাট করতে যায় বাংলাদেশ। দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম আর পারভেজ হোসেন ইমন পান ভালো শুরু। ১৫ ওভার স্থায়ী ওপেনিং জুটিতে আসে ৭০ রান। ৩৮ বলে ৩২ করে আউট হন তানজিদ। অন্যদের ব্যাটিংয়ের সুযোগ দিতে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়ে ইমন ফেরেন ৮২ বলে ৫২ করে।
তিনে নেমে মাহমুদুল হাসান জয় আউট হন মাত্র ১৫ রান করে। অধিনায়ক আকবর আলীও ১২ রানের বেশি করতে পারেননি। চারে নেমে তৌহিদ হৃদয় খেলেন ৫৭ বলে ৫২ রানের ইনিংস। তবে সবচেয়ে আগ্রাসী ছিল শামীম হোসেন পাটোয়ারির ব্যাট। মাত্র ৩৩ বলে ৩ ছক্কা, ৩ চারে ৫৯ রান করেন তিনি। দলকে পাইয়ে দেন আড়াইশ রানের শক্ত পুঁজি।
২৫১ রানের লক্ষ্য অসিরাও পায় ভালো শুরু। স্যান ফেনিং আর লিয়াম স্কটের ৬৪ রানের জুটি ভাঙেন বাঁহাতি স্পিনার হাসান মুরাদ। ৫০ বলে ৪৬ করে রান আউট হয়ে যান ফেনিং। অসি যুবাদের অধিনায়ক ম্যাকেঞ্জি হার্ভিংকেও ফিরিয়ে দেন স্পিনার মুরাদ।
অস্ট্রেলিয়ার লেচান হার্নে ও কোরি কেলি থিতু হয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ফিফটি করার আগে তাদের দুজনকেও ফেরান শরিফুল। এই পেসার ৩৯ রানে নেন ৪ উইকেট। স্পিনার হাসান মুরাদ ২৭ রানে পান ২ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৩ ওভারে ২৫০/৬ (শামীম ৫৯*, হৃদয় ৫৩, ইমন ৫২; মরফি ২/৩০)
অস্ট্রেলিয়া অনূর্ধ্ব-১৯ দল: ৪৩ ওভারে ২৫০ (ফেনিং ৪৬, কেলি ৪৪ ; শরিফুল ৪/৩৯, মুরাদ ২/২৭)
ফল: ম্যাচ টাই
Comments