আখাউড়ার ইউএনও, ওসির অপসারণ দাবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) ইন্ধনে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে- এমন অভিযোগ এনে ইউএনও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণ দাবি করেছেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কর্মরত সাংবাদিকরা।
Human chain
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের ব্যানারে আয়োজিত মানববন্ধন। ১৫ জানুয়ারি ২০২০। ছবি: স্টার

দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করতে ইন্ধন দেওয়ার অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় ইউএনও এবং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার (ওসি) অপসারণ দাবি করেছেন ওই জেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা।

আজ (১৫ জানুয়ারি) বেলা ১২টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সামনে সাংবাদিকদের ব্যানারে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে তারা এই দাবি করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তারা বলেছেন, গত জেএসসি পরীক্ষায় আখাউড়া উপজেলা শহরের একটি কেন্দ্রে নকল চলছে- এমন সংবাদ প্রকাশের পর ‘দৈনিক যুগান্তর’র উপজেলা প্রতিনিধি মহিউদ্দিন মিশু ও ‘যায়যায়দিন’র প্রতিনিধি কাজী হান্নান খাদেমের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেছেন একজন শিক্ষক।

বক্তাদের অভিযোগ, আখাউড়ার ইউএনও তাহমিনা আক্তার রেইনা ইন্ধন দিয়ে থানার ওসি রসুল আহমদ নিজামীর মাধ্যমে ওই দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একজন শিক্ষককে দিয়ে সংবাদ প্রকাশের ২৫ দিন পর মামলা দায়ের করিয়েছেন। এভাবে মিথ্যা মামলা দিয়ে সাংবাদিকদের তথা সাংবাদিকতাকে একজন সরকারি কর্মকর্তা দমিয়ে রাখতে পারেন না। বক্তারা অবিলম্বে সেই মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।

তারা আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওই ইউএনও এবং ওসিকে তাদের দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।

এদিকে, বিক্ষুব্ধ সাংবাদিকরা একই সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। মানববন্ধন শেষে তারা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে প্রেসক্লাবের সামনের সড়ক প্রদক্ষিণ করেন।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহারুল ইসলাম মোল্লা, সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আরজু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক সাদেকুর রহমান, ব্রাহ্মণবাড়িয়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন জামি, জেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক আব্দুন নুর, মানবজমিনের স্টাফ রিপোর্টার জাবেদ রহিম বিজন, আখাউড়া প্রেসক্লাব সভাপতি মো. রফিকুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হান্নান খাদেম, আখাউড়া টেলিভিশন জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাহমিনা আক্তার রেইনা তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, “অপসারণ চাইতেই পারে। এটা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার।”

উল্লেখ্য, উপজেলার মনিয়ন্দ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সহকারী প্রধান শিক্ষক কাজী ইকবালের দায়ের করা মামলায় বলা হয়, ওই দুই সাংবাদিক জোরপূর্বক কেন্দ্রে প্রবেশ করেছেন এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেছেন। কিন্তু, মামলার বাদী ওই দিন ওই কেন্দ্রের দায়িত্বে ছিলেন না। তিনি ওই কেন্দ্রেও ছিলেন না। ওই কেন্দ্রের সচিব, সহকারী সচিব কিংবা কর্তব্যরত কোনো শিক্ষক মামলা করেননি।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago