অবৈধভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসের ময়নামতি-লালমাই পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে না জানিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ি এলাকার বড় একটি অংশ গত মাসে কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি) ক্যাম্পাসের ময়নামতি-লালমাই পাহাড়ি এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরকে না জানিয়ে অবৈধভাবে পাহাড়ি এলাকার বড় একটি অংশ গত মাসে কেটে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ (২০০০ সালে সংশোধিত) অনুসারে পরিবেশ অধিদপ্তরের অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটা অবৈধ।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কুবির একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ, শিক্ষার্থীদের ছাত্রাবাস এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জায়গা তৈরির জন্য এক মাস আগে পাহাড় কাটা শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

শিক্ষার্থীরা বলেছেন, ‘‘প্রায় ১০০টি ট্রাক্টরে করে পাহাড়ের মাটি ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যেতে দেখেছি আমরা।’’ এতে করে পাহাড়ধসের শঙ্কার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

তবে এসব অভিযোগ নাকচ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. ইমরান কবির চৌধুরী।

উপাচার্য জানান, ছাত্রাবাস ও খেলার মাঠের বর্ধিত অংশের নির্মাণকাজ স্থগিত করা হয়েছে। 

তিনি বলেন, “পাহাড় কাটার বিষয়ে জানার পর আমি সংশ্লিষ্ট সব কাজ বন্ধের নির্দেশ দিয়েছি। এ ব্যাপারে আমি ব্যবস্থা নেব।”

উপাচার্যের অনুমতি ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে কিভাবে পাহাড় কাটা হচ্ছে, জানতে চাইলে সদুত্তর দেননি তিনি।

জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শওকত আরা কলি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় পাহাড় কাটার অনুমতি চেয়ে কোনো চিঠি বা নির্দেশনা তারা পাননি।

তিনি বলেন, বরং অনুমতি ছাড়া পাহাড় কাটার বিষয়ে আমরাই উল্টো বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নোটিস দিয়েছি। পরিবেশের বিরুদ্ধে যাবে এমন কোনো বিষয়ে পরিবেশ অধিদপ্তর অনুমতি দেবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় ঠিকাদার আজাদ ও জাকির সমাবর্তন অনুষ্ঠানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠ বর্ধিতকরণ ও ছাত্রাবাস নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পেয়েছে।

শুক্রবার (১০ জানুয়ারি) ক্যাম্পাসে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রাবাসের নির্মাণকাজ চলছে। এছাড়া খেলার মাঠের কাছেই নতুন তৈরি একটি নালাও দেখা যায়। 

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, খনন যন্ত্র দিয়ে পাহাড়ি এলাকা সমান করে ফেলা হচ্ছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের নৃবিজ্ঞান বিভাগের একজন শিক্ষার্থী জানান, পাহাড় কাটা যদি অব্যাহত থাকে তবে এটি পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট করবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের উচিত দেশের আইন মেনে চলা। এ ধরনের প্রকল্প হাতে নেওয়ার আগে তাদের উচিত যথাযথ পরিকল্পনা করা।

Comments

The Daily Star  | English

Teesta floods bury arable land in sand, leaving farmers devastated

40 unions across 13 upazilas in Lalmonirhat, Kurigram, Rangpur, Gaibandha, and Nilphamari are part of the Teesta shoal region

1h ago