গেইল-মাহমুদউল্লাহর ঝড় থামিয়ে নাগালের মধ্যে লক্ষ্য পেল রাজশাহী

এবার বিপিএলে প্রথমবার ক্রিস গেইলকে দেখা গিয়েছিল চেনা রূপে, চার-ছক্কার তাণ্ডবে ফিফটি তুলেছিলেন তিনি। ঝড় তুলে বড় সংগ্রহের আভাস দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহও। তাদের থামিয়ে দারুণভাবে খেলায় ফিরে রাজশাহী রয়্যালস। রাজশাহীর পরিকল্পিত বোলিংয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে তাই দুশো রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও ১৬৪ রান করতে পেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এবার বিপিএলে প্রথমবার ক্রিস গেইলকে দেখা গিয়েছিল চেনা রূপে, চার-ছক্কার তাণ্ডবে ফিফটি তুলেছিলেন তিনি। ঝড় তুলে বড় সংগ্রহের আভাস দিয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহও। তাদের থামিয়ে দারুণভাবে খেলায় ফিরে রাজশাহী রয়্যালস। রাজশাহীর পরিকল্পিত বোলিংয়ে মাঝ পথে খেই হারিয়ে তাই দুশো রানের সম্ভাবনা জাগিয়েও ১৬৪ রান করতে পেরেছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

মিরপুর শেরে বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালে উঠার ম্যাচে টস জিতে রান তাড়ার সুবিধা নিতে আবারও ফিল্ডিং বেছে নেন রাজশাহী অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল। উইকেট ছিল বেশ ভালো। শিশির ভেজা মাঠে রান তাড়াই হতো সেরা উপায়।

প্রথম ওভারই মেডেন নিয়ে শুরু করেন মোহাম্মদ ইরফান। পরের ওভারে এসে ৬ রান করা জিয়াউর রহমানকেও ফিরিয়ে দেন তিনি। তবে তাল পেয়ে গিয়েছিলেন গেইল। অনায়াসে মারছিলেন চার-ছক্কা। মাত্র ২১ বলে তুলে নেন ফিফটি। তার আগে অবশ্য টুর্নামেন্টে দারুণ ছন্দে থাকা ইমরুল কায়েসকে ফিরিয়ে ব্রেক থ্রো পেয়েছিল রাজশাহী। কিন্তু গেইল বাড়াচ্ছিলেন রাজশাহীর ভয়।  রুদ্রমূর্তি ধারণ করা গেইলকে ফেরাতে অফ স্পিনার আফিফ হোসেনকে বল দেন রাসেল। তার প্রথম বলই ছক্কায় উড়ান গেইল। পরের অলেই গেইলকে বোল্ড করে দেন আফিফ। ২৪ বলে শেষ হয় তার ৬০ রানের ইনিংস।

ভড়কে না গিয়ে অবশ্য ওই ওভারেই আফিফকে দুই ছক্কায় উড়িয়া বড় সংগ্রহের আভাস দিচ্ছিলেন দারুণ খেলতে থাকা মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু চট্টগ্রাম অধিনায়ক টানতে পারেননি। পরের ওভারেই পাকিস্তানি মোহাম্মদ নাওয়াজের স্পিনে স্টাম্প ভেঙ্গে যায় তার। ১৮ বলে ৩৩ করে মাহমুদউল্লাহর ফেরার পর এক বল পরই এলবিডব্লিও নুরুল হাসান সোহানও।

ভালো অবস্থা থেকে জোড়া উইকেট হারিয়ে হঠাৎ বিপাকে তখন চট্টগ্রাম। এই অবস্থা থেকে উদ্ধার করতে পারতেন যিনি সেই চ্যাডউইক ওয়ালটন ফিরেছেন লিটন দাসের দুর্দান্ত ক্যাচে। অলক কাপালির বলে এগিয়ে এসে মেরেছিলেন। মিড অনে তার শট বা দিকে ছোবল মেরে হাতে জমিয়ে ফেলেন লিটন।

চট্টগ্রামের বাকি পথে রান বাড়িয়েছেন লঙ্কান আসেলা গুনারত্নে। তার  ২৫  বলে ৩১ রানের ইনিংসে দেড়শো ছাড়িয়ে যায় মাহমুদউল্লাহর দল।

 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৪/৯  (জিয়া ৬, গেইল ৬০, ইমরুল ৫, মাহমুদউল্লাহ ৩৩, ওয়ালটন ৫, নুরুল ০, গুনারত্নে ৩১, এমরিট ২, রুবেল  ৮*, নাসুম ০, রানা ০   ; ইরফান ২/১৬, জায়েদ ০/১৬, শোয়েব ০/১৮, কামরুল ০/১৬, রাসেল ১/৩৫, নাওয়াজ ২/১৩ , আফিফ ১/২০, অলক ০/৯ )

Comments

The Daily Star  | English
BNP office in Nayapaltan

Column by Mahfuz Anam: Has BNP served its supporters well?

The BNP failed to reap anything effective from the huge public support that it was able to garner late last year.

10h ago