কী খেয়ে নেমে অমন বিস্ফোরণ, জানালেন রাসেল
এক পাশে ব্যাটসম্যানরা ডট বল খেলে চাপ বাড়িয়েছেন। মারতে গিয়ে টপাটপ পড়েছে উইকেটও। ফলে মাত্র ২ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ২ ওভারে ফাইনালে ওঠার জন্য ৩১ রান দরকার দাঁড়ায় রাজশাহী রয়্যালসের। চার-ছয়ের তাণ্ডবে ওই রান তুলতে আন্দ্রে রাসেলের লাগল কেবল আর ৮ বল। বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের জন্য দুনিয়াজুড়ে নাম-ডাক তার। আরও একবার ঝলক দেখিয়ে ম্যাচ শেষে জানালেন, অমন ইনিংস খেলার আগে কিছু ফলমূল আর ডাবের পানি খেয়ে মাঠে নেমেছিলেন তিনি।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স করেছিল ১৬৪ রান। নাগালের মধ্যে থাকা ওই লক্ষ্যও এক সময় কঠিন হয়ে যায় রাজশাহীর। মাঝের ওভারে শোয়েব মালিক ডট বলে বাড়িয়ে যান চাপ। কিন্তু তাতে বিপদ হতে গিয়েও হয়নি। ছয়ে নেমে চাপ নিতে উপভোগ করা রাসেল ৭ ছক্কা ও ২ চারে খেলেন ২২ বলে ৫৪ রানের অতিমানবীয় ইনিংস। অপরাজিত থেকে ২ উইকেটের রোমাঞ্চকর জয়ে রাজশাহী অধিনায়ক দলকে তোলেন ফাইনালে।
পরিস্থিতির বিচারে দুনিয়ার যেকোনো ব্যাটসম্যানের জন্যই এমন ইনিংস খেলা অবিশ্বাস্য। কিন্তু রাসেলের ব্যাটিং দেখে মনে হয়েছে, এটা যেন তুড়ি মেরে সেরে ফেলার কাজ। যদিও ম্যাচ শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অলরাউন্ডার জানালেন, সহজ ছিল না তার জন্যও, ‘না, আমার জন্যও সহজ ছিল না। একটা মিস-টাইম হয়ে গেলেই কিন্তু আউট হয়ে যেতে পারতাম। আমি ফিল্ডিং পজিশনগুলো দেখেছি, চেয়েছি মাঝ ব্যাটে লাগাতে, যাতে বল বাউন্ডারির ওপারে গিয়ে পড়ে।’
৭ ছক্কার অনেকগুলো বলেই অন্য যে কারও জন্য সীমানা পার করা হতো দুরূহ। গায়ের জোরে রাসেল তা করেছেন অনায়াসে। অমন শক্তির রসদ হিসেবে ম্যাচের আগে ফলমূল আর ডাবের পানিই না-কি তার ভরসা, ‘বেশি কিছু না (ম্যাচের আগের মেন্যু)। কেবল কিছু ফল খেয়েছি, সেই সঙ্গে ডাবের পানিও খেয়েছি।’
নিজের উপর ভরসা রাসেলের শতভাগ। কিন্তু ভরসা করতে পারছিলেন না বাকিদের ওপর। চলছিল সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মিছিল। শেষ পর্যন্ত আবু জায়েদ রাহী (২ বলে ৫ রান) দেন সঙ্গ, গড়ে ওঠে অবিচ্ছিন্ন ৩৭ রানের জুটি। সঙ্গী রাহীকে তাই বিশেষ ধন্যবাদ জানান রাসেল, ‘অন্য পাশে যেভাবে উইকেট পড়ছে, তা নিয়ে আমি ভীত ছিলাম। আমি ভেবেছি এক পাশে থেকে শেষ পর্যন্ত খেলতে হবে। রাহীকে ধন্যবাদ। সে সঙ্গ দিতে পেরেছে।’
Comments