ধর্ষণের জন্য ওত পেতে ছিল মজনু, স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ম্যাজিস্টেটকে সে বলেছে, কুর্মিটোলায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় সে একাই জড়িত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু। ছবি: পলাশ খান

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার মজনু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ম্যাজিস্টেটকে সে বলেছে, কুর্মিটোলায় ওই শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের ঘটনায় সে একাই জড়িত।

তার ভাষায়, “ধর্ষণের পর ওই শিক্ষার্থীকে হত্যা না করাটা ভুল ছিল।”

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট তোফাজ্জল হোসেন মজনুর জবানবন্দী রেকর্ড করেন।

ঘটনার বিবরণ দিয়ে সে বলে, ধর্ষণের উদ্দেশ্য নিয়েই সেদিন সন্ধ্যা থেকে ওত পেতে ছিল সে। কুর্মিটোলা বাস স্ট্যান্ড থেকে মেয়েটি সেখানে পৌঁছানোর পর তাকে পেছন থেকে জাপটে ধরে মুখ চেপে নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় সে।

মেয়েটিকে মারধর করার কথা উল্লেখ করে মজনু বলে, মারধর করায় মেয়েটি ভয় পেয়ে যায়। আর এ কারণেই তিনি পালাতে পারেননি।

এর আগেও ধর্ষণ করার কথা স্বীকার করে মজনু বলে, এটা তার কাছে সাধারণ ঘটনা।

পুলিশের গোয়েন্দা শাখার পরিদর্শক ও এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আবু সিদ্দিক আজ মজনুকে আদালতে হাজির করেন। ম্যাজিস্টেট তোফাজ্জল হোসেন তার কামরায় এই জবানবন্দী গ্রহণ করে মজনুকে কেরানিগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

মজনু বলে, সে ওই শিক্ষার্থীকে শ্বাসরোধ করে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছিল। এতে ভয় পেয়ে মেয়েটি এক পর্যায়ে অচেতন হয় পড়ে।

মজনুকে গ্রেপ্তারের পর র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, সে একজন সিরিয়াল রেপিস্ট। ভিক্ষুক বা প্রতিবন্ধী নারীরা ছিলেন তার মূল শিকার।

বান্ধবীর বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে গত ৫ জানুয়ারি সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস থেকে কুর্মিটোলা বাস স্টপেজে নেমেছিলেন ওই ছাত্রী। পরে অন্য যানবাহনের জন্য ফুটপাত ধরে হাঁটছিলেন। হঠাৎ তাকে পেছন থেকে মুখ চেপে ধরে ফুটপাতের পাশের ঝোপে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই ধর্ষণের শিকার হন। ধর্ষণের এই ঘটনায় ছাত্রীর বাবা পরে রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন।

Comments