ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকরির অভিযোগ, দুই কনস্টেবল কারাগারে

যশোরে ভুয়া মুক্তিযোদ্ধার সনদ দিয়ে চাকরি নেওয়ার অভিযোগে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে তাদের কর্মস্থল থেকে আটক করেছে পুলিশ।
গতকাল (১৬ জানুয়ারি) রাতে তাদের আটকের পর যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হলে বিচারক মঞ্জুরুল ইসলাম তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আটককৃতরা হলেন- বর্তমানে সাতক্ষীরায় কর্মরত মিনহাজ হোসেন (কনস্টেবল নম্বর ৮৭৩) ও খুলনা মেট্রোপলিটনে (কেএমপি) কর্মরত নাসির উদ্দিন (কনস্টেবল নম্বর ৬০৫৯)।
মিনহাজ যশোরের অভয়নগর উপজেলার নাউলী গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে ও নাসির বাঘারপাড়া উপজেলার বলরামপুর গ্রামের নুর মোহাম্মদের ছেলে। ২০১৫ সালে তারা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় যশোর পুলিশে চাকরি পান।
তদন্তকারী কর্মকর্তা যশোর কোতোয়ালি থানার উপ-পরিদর্শক মোকলেছুজ্জামান জানিয়েছেন, কর্মস্থল থেকে মিনহাজ ও নাসিরকে আটক করা হয়েছে।
একই মামলায় অপর অভিযুক্ত সালাউদ্দিন খুলনা মেট্রোপলিটনে কর্মরত আছেন। তাকেও আটক করা হবে জানিয়েছেন তিনি।
যশোর রিজার্ভ অফিসের আরওআই পরিদর্শক এম মশিউর রহমান জানিয়েছেন, ২০১৫ সালের ২৫ জানুয়ারি পুলিশ কনস্টেবল পদে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির ভিত্তিতে সে বছর ২৩ ফেব্রুয়ারি যশোর পুলিশলাইন মাঠে কনস্টেবল পদে নিয়োগপরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে তারা মুক্তিযোদ্ধা কোটায় কনস্টেবল পদে চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হন।
ছয় মাসের প্রশিক্ষণ শেষে তারা কর্মস্থলে যোগ দেন। এরপর তাদের দেওয়া মুক্তিযোদ্ধার সার্টিফিকেট যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পুলিশ সদরদপ্তরের মাধ্যমে মুক্তিযোদ্ধাবিষয়ক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। যাচাই-বাছাইয়ে তাদের মুক্তিযোদ্ধা সার্টিফিকেট ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়।
এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর মন্ত্রণালয়ের সুপারিশে গত ৩০ ডিসেম্বর প্রতারণা ও জালিয়াতির অভিযোগে যশোর কোতোয়ালি থানায় মামলা করেন যশোর রিজার্ভ অফিসের মশিউর রহমান।
Comments