শুক্কুরের ফিফটির পর নাওয়াজ-রাসেলের ঝড়

Andre Russell
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

শিশির ভেজা মাঠ, উইকেটও বেশ জুতসই, মাঝেমাঝে মিলছিল দুই রকমের গতি। তাতে রাজশাহী রয়্যালস আনতে পারল না ঝড়ো শুরু। তবে তিনে নেমে আগ্রাসী ফিফটিতে দলকে ম্যাচে রাখলেন ইরফান শুক্কুর। শেষ দিকে মোহাম্মদ নাওয়াজ আর আন্দ্রে রাসেলের ব্যাটে দেখা মিলল প্রত্যাশিত ঝড়ের। তবুও লক্ষ্যটা খুলনা টাইগার্সের নাগালের ঠিক বাইরে নিতে পারেনি রাজশাহী।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে আগে ব্যাটিং পেয়ে ৪ উইকেটে ১৭০ রান করেছে রাজশাহী রয়্যালস। দলের হয়ে ৩৫ বলে সর্বোচ্চ ৫২ রান করেন শুক্কুর। ২০ বলে হার না মানা ৪১ রান করেন নাওয়াজ, অধিনায়ক রাসেল অপরাজিত থাকেন ১৬ বলে ২৭ রানে।

ফাইনালের মহা গুরুত্বপূর্ণ টস জিতে অনুমিতভাবে ফিল্ডিং বেছে নেন খুলনার দলনেতা মুশফিকুর রহিম। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে আলো ছড়ানো লিটন দাস-আফিফ হোসেনের উদ্বোধনী জুটির কাছে দলের প্রত্যাশা ছিল অনেক। কিন্তু কোয়ালিফায়ার ম্যাচ দুটির মতো ফাইনালেও নিষ্প্রভ এই জুটি। আবারও বাঁহাতি আফিফ ফেরেন তড়িঘড়ি।

মোহাম্মদ আমিরের বলে পয়েন্টে তার দুর্দান্ত ক্যাচ হাতে জমিয়ে উইকেটের পুরো কৃতিত্বের দাবিদার অবশ্য মেহেদী হাসান মিরাজ। বাড়তি লাফানো বলের গতি বুঝতে পারেননি আফিফ। ব্যাটের উপরের দিকের অংশে লেগে শূন্য উঠে যায় বল।

১৪ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর ওয়ান ডাউনে নেমে বাঁহাতি শুক্কুর নিজেকে চেনান ভিন্নভাবে। আগের ম্যাচে রান পেলেও অতটা আগ্রাসী ছিলেন না। এদিন দলের রান বাড়ানোর প্রাথমিক দায়িত্বটা নেন তিনি। বরং লিটনই ছিলেন মন্থর। সময় নিয়ে থিতু হয়ে ইনিংস টানার ভাবনায় ছিলেন টুর্নামেন্টের সবচেয়ে সফল এই ওপেনার।

Irfan Sukkur
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কিন্তু উইকেটে মানিয়ে নিয়েও ইনিংস টানতে পারেননি লিটন। শহিদুল ইসলামের স্লোয়ার পুল করতে গিয়ে ক্যাচ দেন মিড উইকেটে। লিটন ২৮ বলে ২৫ করে ফিরলে ভাঙে শুক্কুরের সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে তার ৪৯ রানের জুটি।

এরপরও ভড়কে যাননি শুক্কুর। ৬ চার ও ২ ছয়ে ৩০ বলে তিনি স্পর্শ করেন ফিফটি। এর পরপরই অবশ্য আমিরের বলে আউট হয়ে যান। তার আগে ফ্রাইলিঙ্কের বলে সাজঘরে ফেরেন আসর জুড়ে ব্যাট হাতে আলো ছড়ানো শোয়েব মালিকও।

শেষের ছয়-সাত ওভারে ঝড় তোলার জন্য রাসেলের সামনে মঞ্চ তখন প্রস্তুত। তবে রাসেলকে তুলনামূলক কম আগ্রাসী মনে হয়েছে সেই মঞ্চে নাওয়াজ নেমেই তাণ্ডব চালানোয়। দুজনে মিলে শেষ পাঁচ ওভারে আনেন ৭০ রান। নাওয়াজ মারেন ৬ চার ও ২ ছয়। রাসেলের ব্যাট থেকে আসে ৩ ছক্কা। খুলনার আমির ২ উইকেট নেন ৩৫ রানে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর: 

রাজশাহী রয়্যালস: ২০ ওভারে ১৭০/৪ (লিটন ২৫, আফিফ ১০, ইরফান ৫২, শোয়েব ৯, রাসেল ২৭*, নাওয়াজ ৪১*; আমির ২/৩৫, ফ্রাইলিঙ্ক ১/৩৩, তানবির ০/১১, শফিউল ০/৩৮, মিরাজ ০/২৭, শহিদুল ১/২৩)।

Comments

The Daily Star  | English
CAAB pilot licence irregularities Bangladesh

Regulator repeatedly ignored red flags

Time after time, the internal safety department of the Civil Aviation Authority of Bangladesh uncovered irregularities in pilot licencing and raised concerns about aviation safety, only to be overridden by the civil aviation’s higher authorities.

10h ago