ধাওয়ান-কোহলি-রাহুলের ব্যাটে সিরিজে ফিরল ভারত

শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মার শুরুটা হলো দুর্দান্ত। একজন পুড়লেন সেঞ্চুরির আক্ষেপে, আরেকজন ফিরলেন হাফসেঞ্চুরির আগে। তিনে নেমে রান পেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। করলেন ফিফটি। শেষ দিকে ঝড় তুললেন লোকেশ রাহুল। ভারত পৌঁছে গেল সাড়ে তিনশর কাছে। স্টিভেন স্মিথ, মারনাশ লাবুশেনের চেষ্টার পরও ওই পাহাড় টপকানো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।

শিখর ধাওয়ান, রোহিত শর্মার শুরুটা হলো দুর্দান্ত। একজন পুড়লেন সেঞ্চুরির আক্ষেপে, আরেকজন ফিরলেন হাফসেঞ্চুরির আগে। তিনে নেমে রান পেলেন অধিনায়ক বিরাট কোহলিও। করলেন ফিফটি। শেষ দিকে ঝড় তুললেন লোকেশ রাহুল। ভারত পৌঁছে গেল সাড়ে তিনশর কাছে। স্টিভেন স্মিথ, মারনাশ লাবুশেনের চেষ্টার পরও ওই পাহাড় টপকানো হয়নি অস্ট্রেলিয়ার।

শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাজকোটে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে আগে ব্যাট করে তিন ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে ৬ উইকেট হারিয়ে ৩৪০ রান করে ভারত। তাড়া করতে নেমে ৫ বল বাকি থাকতে ৩০৪ রানে গুটিয়ে ৩৬ রানে ম্যাচ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ওয়ানডেতে ১০ উইকেটে হারার পর দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচ জিতে সিরিজে ফিরেছে স্বাগতিক ভারত।

দিবারাত্রির ম্যাচ হওয়ায় এদিনও টস জিতে আগে ভারতকে ব্যাট করতে দিয়েছিল অজিরা। কিন্তু এদিন আর জড়সড় থাকেনি ভারতের ব্যাটিং।

দুই ওপেনার আনেন দুরন্ত সূচনা। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট চালিয়ে রান বাড়াতে থাকেন তারা। ৮১ রানের উদ্বোধনী জুটির পর ৪৪ বলে ৪২ করে আউট হন রোহিত। আরেক প্রান্তে ধাওয়ান ছিলেন অবিচল। অধিনায়ক কোহলির সঙ্গে দ্বিতীয় উইকেটে জমে ওঠে তার জুটি। ধাওয়ান এগোচ্ছিলেন ১৮তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির দিকে। কিন্তু তিন অঙ্ক ছোঁয়ার মাত্র ৪ রান আগে কেন রিচার্ডসনের বলে মিচেল স্টার্কের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। ভেঙে যায় কোহলির সঙ্গে তার ১০৩ রানের জুটি। ধাওয়ান ৯০ বলে ৯৬ রান করেন ১৩ চার ও ১ ছয়ে।

এরপর তড়িঘড়ি ফিরে যান শ্রেয়াস আইয়ারও। তবে রাহুল তেতে ওঠায় স্বস্তি মেলেনি অস্ট্রেলিয়ার। ঋষভ পান্তের চোটে উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলা রাহুল এদিন নেমেছিলেন পাঁচে। উইকেটে গিয়েই তোলেন ঝড়। প্রথমে সঙ্গী হিসেবে পান ৭৬ বলে ৭৮ রান করা অধিনায়ক কোহলিকে। এরপর এগোন একাই। ৫২ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় রাহুলের ৮০ রানের বিস্ফোরক ইনিংসে সাড়ে তিনশর কাছে চলে যায় স্বাগতিকরা।

৩৪১ রানের বিশাল লক্ষ্যে নেমে মনমতো শুরু পায়নি অস্ট্রেলিয়া। আগের ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান ডেভিড ওয়ার্নার মোহাম্মদ শামির বলে ফিরে যান শুরুতেই। স্মিথের সঙ্গে ৬২ রানের জুটির পর অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ফেরেন থিতু হয়ে। তৃতীয় উইকেটে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ান স্মিথ আর লাবুশেন। তারা দলকে দেখাচ্ছিলেন আশা। তাদের ৯৬ রানের জুটি ভাঙে লাবুশেন আউট হয়ে গেলে। টেস্টে দারুণ সফল লাবুশেনের ওয়ানডের যাত্রাও মন্দ হয়নি। ৪৭ বলে ৪৬ রান করে তিনি বিদায় নেন রবীন্দ্র জাদেজার বলে।

এরপর তাদের মতো করে জ্বলে উঠতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার অন্য কেউ। অ্যালেক্স ক্যারি আর ৯৮ রানে থাকা স্মিথকে একই ওভারে ফিরিয়ে অজিদের সম্ভাবনায় কবর রচনা করেন চায়নাম্যান কুলদীপ যাদব। বাকিপথে কমেছে কেবল হারের ব্যবধান। অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের শেষটা মুড়িয়ে দেন শামি আর নবদীপ সাইনি।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ভারত: ৫০ ওভারে ৩৪০/৬ (রোহিত ৪২, ধাওয়ান ৯৬, কোহলি ৭৮, আইয়ার ৭, রাহুল ৮০, পান্ডে ২, জাদেজা ২০*, শামি ১*   ; কামিন্স ০/৫৩, স্টার্ক ০/৭৮, রিচার্ডসন ০/৭৩, জাম্পা ৩/৫০, অ্যাগার ০/৬৩, লাবুশেন ০/১৪)

অস্ট্রেলিয়া: ৪৯.১ ওভারে ৩০৪ (ওয়ার্নার ১৫, ফিঞ্চ ৩৩ স্মিথ ৯৮, লাবুশেন ৪৬, ক্যারি ১৮, টার্নার ১৩, অ্যাগার ২৫, কামিন্স ১, স্টার্ক ৬, রিচার্ডসন ২৪*, জাম্পা ৬; বুমরাহ ১/৩২, শামি ৩/৭৭, সাইনি ২/৬২, জাদেজা ২/৫৮, কুলদীপ ২/৬৫)।

ফল: ভারত ৩৬ রানে জয়ী।

সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজ ১-১ সমতা।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago