যেখানে ম্যাচটা কঠিন হয়ে যায় মুশফিকদের

Mushfiqur Rahim
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

১৬ ওভার শেষে রাজশাহী রয়্যালসের রান ছিল ১০৭। পরের চার ওভারে আন্দ্রে রাসেল আর মোহাম্মদ নাওয়াজ মিলে তুললেন আরও ৬৩ রান। রাজশাহী পৌঁছল ১৭০ রানে। শেষের দিকে বাড়তি অন্তত ১০-১৫ রানই ফাইনাল ম্যাচের চাপে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে বলে মনে করেন মুশফিকুর রহিম।

শুক্রবার  বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ফাইনালে রাজশাহীর ১৭০ রানের জবাবে ১৪৯ রানে থামে খুলনা টাইগার্স। প্রথমবার ফাইনালে উঠেও ২১ রানে ম্যাচ হেরে যাওয়ায় হতাশায় পুড়তে হয় মুশফিককে। 

টুর্নামেন্টে দারুণ খেলেও ফাইনাল জিততে না পারার হতাশায় আচ্ছন্ন তারা,  ‘আপসেট তো অবশ্যই। ফাইনালে উঠলে সবাই তো আশা করে চ্যাম্পিয়ন হতে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী সব সময় পারফর্ম করা যায় না। সত্যি কথা বলতে  আমরা আসলে তিনটা বিভাগেই খুব একটা বেশি ভালো খেলিনি। শুরুটা ভালো হয়েছে, ১৬ ওভার পর্যন্ত ভালোই বল করছিলাম। তারপরে ১০-১৫ রান বেশি হয়েছে।

ফাইনালে ১৭০ রান, ১০-১৫ রান একটু বেশি ছিল। কারণ ফাইনালে একটা আলাদা চাপ থাকে।’

রান বেশি হলেও  এক পর্যায়ে অবশ্য জেতার অবস্থাতেই ছিল তারা। কিন্তু ৪৩ বলে ৫২ করে শামসুর রহমান আর ২৬ বলে ৩৭ করে রুশো আউট হয়ে গেলে খেলার পাল্লা ঘুরে যায় রাজশাহীর দিকে,  ‘ব্যাটিংয়ে শুরুটা ভালো হয়নি। তবে রাইলি আর শামসুর যেভাবে ব্যাট করছিল। আমার মনে হয় সেট ব্যাটসম্যানের জন্য এখানে রান করা সহজ ছিল। রাইলি যেখানে আউট হয়েছে ওই মোমেন্টটাই তফাৎ করে দিয়েছে। কারণ জীবন পেয়েছিল আগে, ছন্দে ছিল পুরো টুর্নামেন্টে। তার আউট পুরো মোমেন্টাম বদলে দেয়। ’

পুরো টুর্নামেন্টে নজর কাড়া ছিল খুলনার ব্যাটিং, বোলিং সব বিভাগই। টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ দুই রান সংগ্রাহকই তাদের দলে। ৪৯৫ রান করেছেন রাইলি রুশো, ৪৯১ রান মুশফিকের। উইকেট শিকারেও মোহাম্মদ আমির, শহিদুল ইসলামরা জায়গা পেয়েছেন উপরে, হতাশার মাঝে খুলনা অধিনায়ক সান্ত্বনা খুঁজছেন ফাইনালে উঠার ‘একটু হতাশার কারণ পুরো টুর্নামেন্টে আমরা ভালো খেলেছি, ব্যাটসম্যান বোলাররা খুবই ভালো করেছে। কিন্তু শেষটায় হলো না। যাইহোক আগে কোনবারই ফাইনাল খেলতে পারিনি, এবার তো খেললাম। পরেরবার আশা করি জিতব।’

Comments