সিটি নির্বাচনের ব্যয় হবে ৪০ কোটি, গতবারের দ্বিগুণ
৩০ জানুয়ারির ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা ব্যয় করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। যা ২০১৫ সালে অনুষ্ঠিত সিটি নির্বাচন ব্যয়ের দ্বিগুণ।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই বাজেটের প্রায় অর্ধেকই ব্যয় হবে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থার জন্য।
ইসির সিনিয়র সচিব মো. আলমগীর বলেছেন, “আমরা ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের বাজেট চূড়ান্ত করেছি।”
তিনি দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, অর্থ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যে বাজেটের প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে।
মো. আলমগীর আরও জানিয়েছেন, ইলেকট্রিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটদান ও এর ব্যবহার সম্পর্কে জানাতে ভোটারদের জন্য একটি ছায়া নির্বাচনের আয়োজন করবে নির্বাচন কমিশন। একইসঙ্গে ইভিএম নিয়ে প্রচারণাও চালাতে হবে। তাই এবারের নির্বাচনে বাজেট বেড়েছে।
এছাড়া, গত নির্বাচনের তুলনায় এবার প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের বেশি পারিশ্রমিক দিতে হবে বলেও জানান তিনি।
ইসির বাজেট শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবার একজন প্রিজাইডিং অফিসারকে চার হাজার টাকা, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারকে তিন হাজার টাকা এবং পোলিং অফিসারকে দুই হাজার টাকা প্রদান করা হবে। যেখানে ২০১৫ সালের নির্বাচনে এ জাতীয় কর্মকর্তাদের যথাক্রমে তিন হাজার, দুই হাজার এবং এক হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছিলো।
তারা আরও জানিয়েছেন, দুই সিটির প্রতিটির জন্য নির্বাচনের কমিশনের ব্যয় হবে ২০ কোটি টাকা। এছাড়া নির্বাচন কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের জন্য আরও অর্থ ব্যয় হবে।
ইসি এবারই প্রথমবারের মতো দুই সিটি কর্পোরেশনের সবগুলো ভোটকেন্দ্রে ইভিএম ব্যবহার করবে। এজন্য ৩৫ হাজার ইভিএম মেশিনের প্রয়োজন হবে। আর ইভিএম পরিচালনায় পোল কর্মকর্তাদের কারিগরি সহায়তার জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে দু’জন করে সেনা সদস্য মোতায়েন করা হবে।
ইসির তথ্য অনুযায়ী, দুই সিটি মিলিয়ে মোট ৫৪.০২ লাখের বেশি ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ডিএনসিসিতে ৩০.৩৫ লাখ এবং ডিএসসিসিতে ২৩.৬৭ লাখ ভোটার রয়েছে।
ডিএনসিসির ১ হাজার ৩৪৯টি ভোটকেন্দ্রে মোট ৭ হাজার ৫১৬টি ভোট বুথ বসানো হবে। আর ডিএসসিসির ১ হাজার ১২৪টি ভোটকেন্দ্রে মোট ৫ হাজার ৯৯৮টি ভোট বুথ বসানো হবে।
ভোট গ্রহণের দিন প্রায় ৪৩ হাজার ১৫ জন পোলিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করবেন।
জানা গেছে, আগামী ২২ জানুয়ারি নির্বাচন কমিশন আইন শৃঙ্খলা রক্ষার বিষয়ে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক করবে। ওই বৈঠকে পুলিশ, র্যাব, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ, আনসার এবং ভিডিপি তাদের বাজেটের প্রস্তাবনা পেশ করবে।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, নির্বাচনের দিন ২৫ হাজার পুলিশ, ৩৫ হাজার আনসার ও এক হাজার এপিবিএন সদস্য মোতায়েন করা হবে।
Comments