ইরানি জেনারেলকে হত্যা ‘অনৈতিক’

আমেরিকার জনগণের অবশ্যই সত্যটা জানা উচিত

ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের একজন আইনজ্ঞ হিসেবে আমি মনে করি যে আমেরিকার জনগণের অবশ্যই সত্য জানা উচিত।
ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির সঙ্গে জেনারেল কাশেম সুলাইমানি। ছবি: এপি ফাইল ফটো

ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের একজন আইনজ্ঞ হিসেবে আমি মনে করি যে আমেরিকার জনগণের অবশ্যই সত্য জানা উচিত।

বয়স আমার এখন একশ। আর চুপ থাকতে পারি না। ১৯২১ সালের জানুয়ারি মাসে যখন আমেরিকায় আসি, নিতান্তই একটা বাচ্চাছেলে ছিলাম। এই দেশে থাকতে পারায় জীবন আমার ধন্য।

সম্মুখ সমরে অংশ নিয়েছিলাম দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে। আমার গর্ব হয় যে হাজারো নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা নাৎসিদের বিচারকার্যে ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের একজন আইনজীবীও ছিলাম।

Benjamin
আমেরিকান আইনজীবী বেঞ্জামিন বি. ফেরেঞ্জ। ছবি: উইকিপিডিয়া থেকে নেওয়া

সম্প্রতি, একটা সরকারি ঘোষণায় জানতে পারলাম, রাষ্ট্রপতির আদেশে আমরা অন্য একটি দেশের গুরুত্বপূর্ণ এক সেনাপতিকে সরিয়ে দিয়েছি (পড়ুন, হত্যা করেছি)। অথচ, সে দেশের সঙ্গে আমাদের যুদ্ধ চলছে না। ঘটনাটাই আমার কাছে কেমন যেনো অনৈতিক লাগছে। আমি হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে স্নাতক। এ বিষয় নিয়ে প্রচুর ঘাঁটাঘাঁটি, লেখালেখিও করেছি। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রাষ্ট্রীয় এবং আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন হয়েছে বলে আমি মনে করছি।

আবারো বলি, সত্য জানার অধিকার অবশ্যই জনগণের আছে। একটা হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে- জাতিসংঘ সনদ, আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত, হেগের আন্তর্জাতিক বিচার আদালত কাউকে তোয়াক্কা না করেই। সুতরাং, যারা যুদ্ধবাজ, আইন উপেক্ষা করে যুদ্ধকেই বেছে নেয়, তাদের চিন্তাধারা, মন-মানসিকতার পরিবর্তন ঘটানো একান্ত প্রয়োজন। না হলে, ইন্টারনেটের এই দুনিয়ার আমাদের তরুণ সমাজের সামনে রয়েছে ভয়াবহ বিপদ।

 

বেঞ্জামিন বি. ফেরেঞ্জ প্রখ্যাত আমেরিকান আইনজীবী। হাঙ্গেরিতে জন্ম নেওয়া বেঞ্জামিন বর্তমানে ফ্লোরিডায় বসবাস করছেন। ন্যুরেমবার্গ ট্রায়ালের একমাত্র জীবিত প্রসিকিউটর এবং আন্তর্জাতিক অপরাধ আইন বিশেষজ্ঞ হিসেবে পৃথিবীব্যাপী পরিচিত। নিউইয়র্ক টাইমসে প্রকাশিত তার লেখাটির বাংলা অনুবাদ।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago