হরিজন তাই স্কুলে যেতে বাধা
নতুন বছরে নতুন বন্ধুদের সঙ্গে একসাথে ক্লাস করার কথা ছিল বিরাটের। সব নিয়ম মেনে স্কুলে প্রথম শ্রেণিতে ভর্তি করা হলেও ক্লাসে ফিরতে পারছে না।
হরিজন, তাই স্কুলের অন্য বাচ্চাদের ‘সমস্যা’ হবে, এই অভিযোগে তাকে স্কুলে আসতে নিষেধ করে দেয়ার অভিযোগ উঠেছে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার অগ্রদূত চাইল্ড কেয়ার হোমস্ কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
বিরাটের বাবা মনা বাসপর এর প্রতিকার চেয়ে গত বৃহস্পতিবার (১৬ জানুয়ারি) উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত আবেদন করেছেন।
এতে বলা হয়, গত ১৩ জানুয়ারি বিরাট বাসপরকে কুলাউড়া উপজেলা ভূমি অফিস রোডে অবস্থিত অগ্রদূত চাইল্ড কেয়ার হোমসে ভর্তি করানো হয়। যথাযথ নিয়ম মেনে ও ভর্তি ফি ও বইয়ের টাকাও দেয়া হয়। কিন্তু কোন এক অজ্ঞাত কারণে বিরাটকে ক্লাসে উপস্থিত না হওয়ার জন্য সিদ্ধান্ত নেয় স্কুল কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হলে বলা হয়, হরিজন সম্প্রদায় বলে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিখিল বর্ধন জানান, কয়েকজন শিক্ষার্থীর অভিভাবক বিরাটকে নিয়ে মৌখিক আপত্তি জানালে তারা তাকে ক্লাসে ফিরতে নিষেধ করেন। বিরাট হরিজন সম্প্রদায়ের হওয়ায় তাদের বাচ্চাদের ‘সমস্যা’ হবে বলে দাবি করেন অভিভাবকেরা।
তিনি বলেন, “হরিজন সম্প্রদায়ের ছেলে হলেও আমরা তাকে ভর্তি করেছি। কিন্তু ‘অজ্ঞাত’ এক কারণে ওই ছেলেকে ক্লাসে ফিরতে বারণ করেছেন কিছু অভিভাবক। প্রতিষ্ঠানের স্বার্থ আমাদের প্রথমে চিন্তা করতে হবে”।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ টি এম ফরহাদ চৌধুরীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “লিখিত অভিযোগ পাওয়ার পর স্কুল কর্তৃপক্ষকে ডেকে এনে ওই স্কুলছাত্রকে ক্লাসে ফিরিয়ে নিতে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি। মঙ্গলবার স্কুল কর্তৃপক্ষ ও অভিভাবকদের নিয়ে একটি সচেতনতামূলক সভার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।”
Comments