তীব্র শীতে উত্তরাঞ্চলে জনজীবন প্রায় স্থবির

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবন প্রায় স্থবির। হাড় কাঁপানো শীতে উত্তর জনপদের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে রোজকার জীবন ব্যাহত হচ্ছে।
তীব্র শীতে নিম্ন আয়ের মানুষদের জনজীবন প্রায় স্থবির। পঞ্চগড়ের করতোয়া ব্রিজ থেকে মঙ্গলবার সকালে ছবিটি তোলা হয়েছে। ছবি: কামরুল ইসলাম রুবাইয়াত

মাঝারি শৈত্যপ্রবাহে দেশের উত্তরাঞ্চলের জনজীবন প্রায় স্থবির। হাড় কাঁপানো শীতে উত্তর জনপদের পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁওয়ে রোজকার জীবন ব্যাহত হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (২১ জানুয়ারি) টানা তিন দিন সূর্যের দেখা মেলেনি ওই অঞ্চলে। রোদ না থাকায় সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান কমে গেছে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, আজ সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় তাপমাত্রা ছিল ১৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

সোমবার সকাল ৯টায় তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সন্ধ্যা ৬টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ১৪ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এ বছরে সর্বনিম্ন এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রার ব্যবধান গত সোমবারই ছিল সবচেয়ে কম জানিয়েছেন তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রহিদুল ইসলাম ।  

বৈরী আবহাওয়ায় প্রয়োজন ছাড়া মানুষ ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগীর চাপ। বিশেষত শিশু ও বয়স্করা বেশি আসছেন হাসপাতালে।  

পঞ্চগড় শহরের রিকশাচালক জমির জানান, এক সপ্তাহ আগে এরকম কনকনে শীত ছিল। পরে কয়েকদিন ভালই রোদ থাকায় শীতও কমে। কিন্তু গত তিন দিন আবারও কনকনে শীত শুরু হয়েছে। ঠান্ডায় রিকশা চালানো যাচ্ছে না। যাত্রীও কমে গেছে। মানুষ দরকার ছাড়া ঘর থেকে বের হয় না।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বৈকণ্ঠপুর গ্রামের কৃষক আব্দুর রাজ্জাক জানান, দুই-তিন দিন ধরে রোদ না থাকায় ঠান্ডা এতো বেড়েছে যে মাঠে কোনো কাজই করা যাচ্ছে না। রোদ না থাকায় গরু-ছাগল নিয়েও বিপদে আছেন।

ঘন কুয়াশা ও শীতের কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগে আক্রান্ত হচ্ছে রবিশস্য।

ইয়াকুবপুর গ্রামের আলু চাষি নূর জামাল বলেন, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে আলু আবাদ করেছেন। সূর্যের আলো পর্যাপ্ত না থাকায় গত দুদিনে এক চতুর্থাংশ আলু গাছ ‘লেট ব্লাইট’ রোগে আক্রান্ত হয়েছে।

 

 

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago