পাকিস্তানে ক্রিকেট ফেরাতে বিসিবির খরচ তাহলে কম নয়!

BCB-PCB

পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য ঠিক পাশের বাড়ি নয়, আবার অতি দূরেও নয়। কিন্তু উড়ালপথে পাকিস্তানে যাওয়ার নেই সহজ কোনো উপায়। ঘুরপথে দোহা বা দুবাই হয়ে যেতে হয় সেদেশে। দুই-তিন ঘণ্টার জায়গায় লেগে যায় ১০-১২ ঘণ্টা। অতি সংক্ষিপ্ত সফরে খেলতে যেতে অমন ঝক্কি পোহাতে চায়নি বাংলাদেশ দল। তাই মাহমুদউল্লাহদের লাহোর যাত্রায় করা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। তাতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) খরচও বেড়ে যাচ্ছে অনেকখানি।

বুধবার (২২ জানুয়ারি) রাত আটটায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ভাড়া করা বিমানে (চার্টার্ড ফ্লাইট) ঢাকা থেকে সরাসরি লাহোর যাবেন ক্রিকেটাররা। বিসিবির দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টার ভ্রমণ শেষে বাংলাদেশ দল লাহোরে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় রাত সাড়ে দশটায়।

বাংলাদেশ বিমানের বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের উড়োজাহাজ ‘মেঘদূত’- এ চেপে লাহোর যাবেন খেলোয়াড়, কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফরা। অন্য কোনো যাত্রী না থাকায় ১৬২ আসনের বিমানের বেশিরভাগ আসনই পড়ে থাকবে ফাঁকা। লাহোরে বাংলাদেশ দলকে নামিয়ে ফাঁকা ফিরতে হবে এই উড়োজাহাজকে। আগামী ২৮ তারিখ আবার ফাঁকা উড়ে গিয়ে নিয়ে আসতে হবে দলকে। এতে বিসিবিকে গুণতে হচ্ছে মোটা অঙ্কের বাড়তি টাকা।

প্রথম দফায় পাকিস্তানের মাটিতে আগামী ২৪, ২৫ ও ২৭ জানুয়ারি তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। জানা গেছে, এই দফার যাওয়া-আসা মিলিয়ে বিসিবির খরচ হবে দেড় লাখ মার্কিন ডলার বা এক কোটি ২৭ লাখ টাকারও বেশি।

এতেই সব শেষ হয়ে যাচ্ছে না। নিরাপত্তার শঙ্কায় বিশেষভাবে আয়োজিত এই সফরে বাংলাদেশকে যেতে হবে আরও দুই ধাপে। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে রাওয়ালপিন্ডিতে শুরু হবে দুই দলের প্রথম টেস্ট। টেস্ট দলকে নিয়ে আবার একই রকম ঝক্কির মধ্যে পড়তে হবে বিসিবিকে। প্রথম টেস্ট শেষ হওয়ার পর এপ্রিল মাসে আছে এক ওয়ানডে আর দ্বিতীয় টেস্টের আরেক সফর।

যেকোনো সিরিজে সফরকারী দলকে বিমানভাড়া বহন করতে হওয়ায় তিন দফায় বিশাল অঙ্কের টাকা কেবল এই খাতেই খরচ করতে হচ্ছে বিসিবিকে।

২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর হামলার পর আন্তর্জাতিক খেলা বন্ধ হয়ে যায় পাকিস্তানে। ২০১৭ সাল থেকে সীমিত পরিসরে ক্রিকেট ফিরতে শুরু করে সেদেশে। তবে বেশিরভাগ দল এখনো সেদেশে সফর করে না। গত বছর শ্রীলঙ্কা সেখানে গিয়ে খেলে আসার পর বাংলাদেশের নির্ধারিত সফরের জন্য চাপ বাড়াতে থাকে পাকিস্তানের ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

বিসিবি প্রথমে টি-টোয়েন্টি ছাড়া অন্য কোনো সংস্করণে খেলতে অসম্মতি জানালেও শেষ পর্যন্ত তিন দফায় পুরো সিরিজই খেলতে রাজি হয়। এমনকি আইসিসির ভবিষ্যৎ সফর সূচির (এফটিপি) বাইরে একটি ওয়ানডে খেলাও চূড়ান্ত করা হয়।

সফরে যেতে রাজি হলেও পূর্ণাঙ্গ রূপে পাকিস্তানে যেতে পারছে না বাংলাদেশ দল। নিরাপত্তা শঙ্কায় পরিবারের সায় না পেয়ে এই সফরে যাচ্ছেন না মুশফিকুর রহিম। প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো গেলেও বেশিরভাগ কোচিং স্টাফও সফর থেকে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন।

Comments

The Daily Star  | English
Nat’l election likely between January 6, 9

EC suspends registration of AL

The decision was taken at a meeting held at the EC secretariat

7h ago