শীর্ষ খবর

ধর্ষণের অভিযোগে মিথ্যা মামলা করায় ৩ বছরের কারাদণ্ড

ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করায় পঞ্চগড়ে কেরামত আলী (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
Gavel

ধর্ষণের অভিযোগ এনে মিথ্যা মামলা করায় পঞ্চগড়ে কেরামত আলী (৪৩) নামে এক ব্যক্তিকে তিন বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

এর আগে, কেরামত আলীর করা মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তার বিরুদ্ধেই মামলা করার আদেশ দিয়েছিলেন। সেই মামলায় আজ (২৩ জানুয়ারি) দুপুরে পঞ্চগড় চিফ জুডিশিয়াল আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এই দণ্ডাদেশ দেন।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৯ মার্চ দেবীগঞ্জ উপজেলার টেপ্রীগঞ্জ ইউনিয়নের রামগঞ্জ বিলাসী হাজারী পাড়া এলাকার লস্কর মুন্সির ছেলে কেরামত আলী তার ভায়রা মোশারফ হোসেনের (৪৬) বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছিলেন।

মামলায় কেরামত অভিযোগ করেন, তার পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে বেড়ানোর কথা বলে নিয়ে গিয়ে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করেছেন মোশারফ হোসেন।

পরে, মামলাটি চলাকালে ২০১৭ সালের ১১ জুলাই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতে দেয়া জবানবন্দিতে শিশুটি জানায়, অভিযুক্ত মোশারফ হোসেন (শিশুটির খালু) তার কোনো ক্ষতি করেননি। তার বাবা ও খালুর মধ্যে দ্বন্দ্বের কারণে মামলাটি হয়েছে।

জবানবন্দিতে মামলাটি মিথ্যা প্রমাণিত হওয়ায় অভিযুক্ত মোশারফকে অব্যাহতি দিয়ে ওই দিনই অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত বাদীর বিরুদ্ধে ২১১ ধারায় মামলা করে ব্যবস্থা নিতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতকে নির্দেশ দেন।

এরপর দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে মিথ্যা মামলা করার দায়ে আজ কেরামত আলীকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। আসামি পলাতক থাকায় তার অনুপস্থিতিতেই রায় ঘোষণা করা হয়।

এই মামলায় বাদীপক্ষে ছিলেন সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মোস্তাফিজুর রহমান।

এ বিষয়ে কেরামত আলীর স্ত্রী শাহিনা আক্তার মুঠোফোনে বলেছেন, “আমার দুলাভাই মোশারফ হোসেনের বিরুদ্ধে আমার স্বামী একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করেছিলেন। কিন্তু মেয়েটির ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে গ্রামের সবাই মিলে বিষয়টি সমঝোতার সিদ্ধান্ত নেয়। পরে সমঝোতা হলে মামলাটি তুলে নেওয়ার জন্য আদালতে গিয়ে মেয়েটি ওই স্বীকারোক্তি দেয়। আপস করতে গিয়ে উল্টো আমার স্বামীর বিরুদ্ধেই মামলা হয়।”

Comments

The Daily Star  | English

Dhaka stares down the barrel of water

Once widely abundant, the freshwater for Dhaka dwellers continues to deplete at a dramatic rate and may disappear far below the ground.

7h ago