গোল করার ব্যর্থতা ঘোচাতে লিগের কাঠামোয় পরিবর্তন চান ডে
বুরুন্ডির বিপক্ষে গোল করার সুযোগ তৈরিতে এগিয়ে ছিল বাংলাদেশ। পুরো ম্যাচে বল দখলেও আধিপত্য ছিল লাল-সবুজ জার্সিধারীদের। কিন্তু দলের ফরোয়ার্ডদের সুযোগ নষ্টের মহড়া পরিসংখ্যানের এসব হিসাব-নিকাশকে ম্লান করে দিয়েছে। আফ্রিকান দেশটির কাছে বড় ব্যবধানে হেরেছেন জামাল ভূঁইয়ারা। সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নেওয়ার পর বাংলাদেশ কোচ জেমি ডে জোর গলায় বলেছেন, গোল করার ব্যর্থতা দূর করতে হলে পরিবর্তন আনতে হবে ঘরোয়া লিগের কাঠামোয়।
টানা তৃতীয়বারের মতো বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে বুরুন্ডির কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে তারা। দ্য সোয়ালোস (আবাবিল পাখি) খ্যাত দলটির হয়ে হ্যাটট্রিক করেন স্ট্রাইকার এনশিমিরিমানা জোসপিন। তিনি যেন চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিলেন অন্য দেশের ফরোয়ার্ডদের সঙ্গে বাংলাদেশি ফরোয়ার্ডদের পার্থক্য।
এমন ফলে স্বাভাবিকভাবেই হতাশ জেমি। আর অনুমিতভাবেই ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তাকে কথা বলতে হয়েছে ফরোয়ার্ডদের গোল করতে না পারার বিষয়টি নিয়ে, ‘আমি মনে করি, আমরা খুব ভালো খেলেছি। প্রথমার্ধের পাঁচ মিনিট বাদে, যখন আমরা দুই গোল হজম করেছি। এটা খুবই হতাশাজনক। তাছাড়া আমি মনে করি, দ্বিতীয়ার্ধের অধিকাংশ সময়েও আমরা খুব ভালো ফুটবল খেলেছি। মূল ইস্যুটা হলো গোল করা। আমাদের খেলোয়াড়রা গোল করতে পারছে না।’
এ ম্যাচে সাদ উদ্দিন বুরুন্ডি গোলরক্ষককে একা পেলেও বল সোজাসুজি তার গায়ে মেরে সুবর্ণ সুযোগ নষ্ট করেন। এর আগে-পরে গোল করতে ব্যর্থ হন মাহবুবুর রহমান সুফিল-রাকিব হোসেনও। জাতীয় দলের ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতার পেছনে ঘরোয়া ক্লাবগুলোরও দায় দেখছেন জেমি। কারণ ফরোয়ার্ডদের অনেকেই ক্লাব পর্যায়ে খেলে থাকেন ভিন্ন পজিশনে, ‘যদি আমি একজন ফরোয়ার্ড হই, তাহলে প্রতিদিন আমি ফরোয়ার্ড হিসেবে খেলতে চাইব। যদি আমি ক্লাবে রাইট-ব্যাক হিসেবে খেলি তাহলে ফরোয়ার্ড হিসেবে আমার যে মানসিকতা থাকা উচিত, সেটা পরিবর্তিত হয়ে যাবে। কিন্তু যখন ফুটবলাররা জাতীয় দলে আসে এবং আমি তাদের মানসিকতা বদলাতে বলি এবং সামনে (ফরোয়ার্ড হিসেবে) খেলতে বলি, তারা তা করতে পারে না। এটা তাদের জন্য খুব কঠিন। তাদের জন্য আমার দুঃখ হয়।’
ফরোয়ার্ডদের দুর্বলতা দূর করতে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিগের কাঠামোয় পরিবর্তন আনারও জোর দাবি রেখেছেন ইংলিশ কোচ, ‘আমার মতে, আমাদের লিগ পুনর্গঠন করতে হবে। আমি জানি, ক্লাবগুলো এটা পছন্দ করবে না। কিছু মানুষ এটা পছন্দ করবে না। কিন্তু আমাদের উন্নতি করতে হলে এবং (ফরোয়ার্ডদের দুর্বলতা দূর করে) গোল পেতে হলে লিগের কাঠামোয় পরিবর্তন আনতে হবে।... এই ইস্যু (ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা) কতদিন ধরে চলছে? ২০ বছর-৩০ বছর। তাই আমাদের বেশ কিছু বিষয় পরিবর্তন করতে হবে।’
Comments