ডমিঙ্গো দেখলেন তামিম কীভাবে টি-টোয়েন্টি খেলেন
বাংলাদেশের দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর এই প্রথম তামিম ইকবালকে পেলেন রাসেল ডমিঙ্গো। বাংলাদেশ দলের সিনিয়র এই ব্যাটসম্যান কেমন খেলেন, আগে তা কেবল বাইরে থেকেই দেখার সুযোগ ছিল। এবার কাছ থেকে তাকে পেয়েছিলেন। দুই ম্যাচেই তামিম রানও পেয়েছেন। তবে তার খেলার ধরন নিয়ে উঠেছে বিস্তর প্রশ্ন। তামিমের টি-টোয়েন্টি খেলার ধরণ নিয়ে পাকিস্তানি সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাব তাকে নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন বাংলাদেশের কোচ।
পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩৪ বলে ৩৯ রান করেন তামিম। নাঈম শেখের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়লেও মন্থর ব্যাটিংয়ে দল পায়নি বড় সংগ্রহ। দ্বিতীয় ম্যাচে উইকেট আরও ভালো থাকলেও বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে এক প্রান্ত ধরে খেলে ৫৩ বলে করেন ৬৫ রান। তবে তাতে বাংলাদেশ ১৩৬ রান করে পাত্তাই পায়নি পাকিস্তানের কাছে।
দুই ম্যাচেই তামিম লম্বা সময় ক্রিজে থাকার পরও বাংলাদেশ কাজে লাগাতে পারেনি পাওয়ার প্লে। প্রথম ছয় ওভারে দুই ম্যাচেই বাংলাদেশের রান এসেছে ওভারপ্রতি ছয়ের নিচে গতিতে।
অভিজ্ঞ তামিম থাকার পরও ওপেনিং থেকে টি-টোয়েন্টির ধরণের সঙ্গে বেমানান ব্যাটিং বাংলাদেশের বড় ঘাটতি কিনা, সিরিজ হারার পর সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের মুখে পড়তে হয় বাংলাদেশের কোচকে। তিনি অবশ্যই তামিমের মন্থর ব্যাটিং আগলে রেখে তার উন্নতির জায়গা এনেছেন সামনে, ‘তামিমের সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সিরিজ। আমার মতে, দুই ম্যাচেই সে ভালো খেলেছে। তবে অবশ্যই সে উন্নতি করতে পারে। প্রথম ম্যাচে আমরা বিনা উইকেটে ৬৮ করেছিলাম (১০ ওভারে ৬২), যা মোটামুটি ঠিকঠাক ছিল। আজকে আমরা ক্রমাগত উইকেট হারিয়েছি। দ্বিতীয় ওভার, চতুর্থ ওভার, অষ্টম ওভারে উইকেট হারিয়েছি। তাই হাত তুলে খেলা কঠিন ছিল, কারণ আরেক পাশের ব্যাটসম্যানও একই গতিতে রান করছিল।’
তামিমের ব্যাটিং নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনার পথে না গেলেও কোচ বুঝিয়ে দিলেন সন্তুষ্টির জায়গাতেও নেই এই সিনিয়র ব্যাটসম্যান, ‘ওর আরও কাজ করতে হবে। ওর সঙ্গে আমার প্রথম এসাইনমেন্ট। দেখলাম সে কীভাবে টি-টোয়েন্টি খেলে। সবারই উন্নতির জায়গা আছে। এবং অনেক আলোচনার সুযোগ আছে। আশা করছি নিজের খেলা সে পরের ধাপে নিতে যাবে।’
Comments