তিকিতাকা খেলতে গিয়ে 'অর্থহীন পাস' দিচ্ছে বার্সা!

ইয়ুহান ক্রুয়েফের ঐতিহ্যবাহী তিকিতাকাকে ফুটবলের আদর্শ মানেন বলেই মৌসুমের মাঝ পথে কিকে সেতিয়েনকে কোচের দায়িত্ব দেন বার্সেলোনা ম্যানেজমেন্ট। শুরুটাও ভালো করেছিলেন তিনি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে এসেই বাস্তবতা টের পেলেন সেতিয়েন। তিকিতাকা খেলতে গিয়ে গোটা দল অযথাই নিজেদের মধ্যে বল দেওয়া নেওয়া করেছেন। আর তাতে হতাশা প্রকাশ করেছেন এ স্প্যানিশ কোচ।
লম্বা পাস না দিয়ে ছোট ছোট পাসে নিজেদের পায়ে বল রেখে আক্রমণে যাওয়াই তিকিতাকা ফুটবলের মূল দর্শন। কিন্তু পায়ে বল রাখতে পারলেও আক্রমণে সে অর্থে যেতে পারছে না বার্সা। তাই পাস গুলো অর্থহীন হয়েই দাঁড়াচ্ছে। আগের দিন ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে ৭৪ শতাংশ বল পায়ে রেখেও লাভ হয়নি। ২-০ গোলের ব্যবধানে হারে তারা। ব্যবধান বড় হতে পারতো আরও। একটি গোল বাতিল হয়েছে অজানা কারণে। আর একটি ফিরেছে বারপোস্টে লেগে। এছাড়া গোলরক্ষক টের স্টেগেনের অসাধারণ কিছু সেভ তো ছিলই।
সবমিলিয়ে ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে এক অর্থে পাত্তাই পায়নি বার্সেলোনা। প্রথম অর্ধে তো সংঘবদ্ধ কোন আক্রমণই করতে পারেনি তারা। দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা গোছাতে পারলেও গোল করার মতো জোরালো আক্রমণ নেই বললেই চলে। তাও যা করেছেন ওই মেসিই। ১৪টি শটের ১১টি যে তারই নেওয়া। হাফ চান্স থেকে প্রায়ই গোল আদায় করে নেওয়া মেসি এদিন অসাধারণ কিছু করতে না পারায় হারতেই হয় তাদের।
তবে পুরো ম্যাচে বার্সেলোনার খেলোয়াড়দের খোলসে আটকে রাখতে সমর্থ হয়েছেন ভ্যালেন্সিয়ার খেলোয়াড়রা। তাই মাঝ মাঠে অযথাই বল দেওয়া নেওয়া করেছেন বার্সার খেলোয়াড়রা। তাই মনোভাবের দৃঢ়তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। কোচ সেতিয়েন অবশ্য এমন কিছু মানতে নারাজ। তবে অযথা পাসে বিরক্ত তিনি, 'আমার মনে হয় না মনোভাবে সমস্যা আছে, তাদের প্রতিজ্ঞাবদ্ধই দেখাচ্ছিল। কিন্তু আমরা ভালো খেলতে পারিনি। আমরা প্রচুর অর্থহীন পাস দিয়েছি, কেবল দিতে হয় তাই।'
গোল করতে না পারাতেই হারতে হয় বার্সাকে। লুইস সুয়ারেজের অভাব ফুটেছে স্পষ্ট। আনসু ফাতি ও আতোঁয়ান গ্রিজমানের সঙ্গে রসায়ন জমছে না মেসির। মূলত দলের সম্মিলিত পারফরম্যান্সেই ঘাটতি দেখছেন সেতিয়েন, 'বাস্তবতা হলো, আমরা এই ম্যাচে ভালো খেলিনি। বিশেষ করে প্রথমার্ধে। আমরা গোলের পথ খুঁজে পাইনি। এছাড়াও আরো কিছু বিষয় আমরা ঠিকঠাকভাবে করিনি। এরপর ভ্যালেন্সিয়া আমাদের ভুলের সুযোগ নিয়েছে।'
Comments