করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১০৬
প্রতিদিনই বেড়ে চলেছে চীনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। বাড়ছে মৃতের সংখ্যাও।
চীনের সরকারি হিসাবে, ভাইরাসটির সংক্রমণে দেশটিতে এখন পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছেন ১০৬ জন। আক্রান্ত হয়েছেন সাড়ে চার হাজারেরও বেশি মানুষ। ভাইরাসটি একজন থেকে আরেকজনের মধ্যে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে বলে জানিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
আজ (২৬ জানুয়ারি) এমন তথ্যই প্রকাশিত হয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমে।
চীনা নববর্ষের অনুষ্ঠানে দেশটিতে যোগ দিতে এসেছে লাখো পর্যটক। এছাড়াও, দেশটিতে শুরু হওয়া নববর্ষের ছুটিতে অনেকেই বাড়ি যাচ্ছেন, আবার অনেকে ছুটি কাটাতে যাচ্ছেন অন্য দেশে। আর সেসব কারণেই ভাইরাসটি আরও বেশি ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভাইরাসটি এখন আর শুধু চীনেই সীমাবদ্ধ নেই। ইতোমধ্যে ভাইরাস আক্রান্ত ব্যক্তি শনাক্ত করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, হংকং, ভিয়েতনাম, সিঙ্গাপুর, তাইওয়ান, নেপাল, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়া, থাইল্যান্ড, জাপান, মালয়েশিয়া, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ১৬ স্থানে।
আজ সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে চীনের ন্যাশনাল হেলথ কমিশন জানিয়েছে, স্পর্শের মাধ্যমেও এ ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে চীনে বসন্ত উৎসবে সরকারি ছুটির দিন বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছে দেশটির কর্তৃপক্ষ। আগে ২৪-৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ছুটি থাকলেও এখন তা বাড়িয়ে ২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের কেন্দ্রস্থল উহানের অধিবাসীদের শহর না ছাড়তে বলা হয়েছে। এছাড়াও, চীনের মধ্যাঞ্চলীয় হুবেই প্রদেশের ১৫ শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দেশটির কর্তৃপক্ষ।
করোনাভাইরাসের আতঙ্কে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বাংলাদেশ, ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, থাইল্যান্ড, দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিশ্বের অনেক দেশ। এসব দেশের বিমানবন্দরে চীন থেকে আগত যাত্রীদের স্ক্রিনিং করা হচ্ছে।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণস্থল উহানে বেশকিছু বাংলাদেশি শিক্ষার্থী রয়েছেন। এছাড়া চীনের অন্যান্য স্থানেও বাংলাদেশি রয়েছেন। ইতোমধ্যে চীন থেকে বাংলাদেশি নাগরিকদের ফেরানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।
এছাড়াও, চীনের উহান থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত সরকারও।
Comments