মুমিনুল চোখ রাখবেন অন্যদের পারফরম্যান্সে

দুই একজন ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলে টেস্ট সংস্করণে যারা খেলেন তারা প্রায় সবাই লম্বা সময় ধরে মুমিনুল হকের সতীর্থ। তাদের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানার কথা তার। তবে অনেক দিন থেকে লাল বলে না খেলায় বর্তমানে কার কী অবস্থা তা জানেন না মুমিনুল। এবার সেটা দেখে নেওয়ার সুযোগ মিলছে তার। বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) সতীর্থ অবস্থা দেখে নিতে চান টেস্ট দলের অস্থায়ী এ অধিনায়ক।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

দুই একজন ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলে টেস্ট সংস্করণে যারা খেলেন তারা প্রায় সবাই লম্বা সময় ধরে মুমিনুল হকের সতীর্থ। তাদের সম্পর্কে ভালোভাবেই জানার কথা তার। তবে অনেক দিন থেকে লাল বলে না খেলায় বর্তমানে কার কী অবস্থা তা জানেন না মুমিনুল। এবার সেটা দেখে নেওয়ার সুযোগ মিলছে তার। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) থেকে শুরু হতে যাওয়া বাংলাদেশ ক্রিকেট লিগে (বিসিএল) সতীর্থ অবস্থা দেখে নিতে চান টেস্ট দলের অস্থায়ী এ অধিনায়ক।

ভারত সিরিজের জন্য টেস্ট সংস্করণের বাংলাদেশ দলের অস্থায়ী অধিনায়কের দায়িত্ব পান মুমিনুল। পাকিস্তান সিরিজে থাকছেন কি না তার ঘোষণা এখনও আসেনি। বড় কোন পরিবর্তন না হলে পাকিস্তান সিরিজেও দায়িত্ব তার কাঁধেই থাকছে। ব্যাপারটা ভালো করেই জানেন মুমিনুল। সে ভাবনা থেকেই হয়তো বললেন, 'আমি অধিনায়ক হিসেবে জিনিসটা ভালোভাবে দেখতে পারব... কে কীভাবে খেলে, কে কীভাবে থাকে, এটিটিউড। এটা ভালো একটা সুযোগ আমার মনে হয়।'

ভারতে মুমিনুলের অধীনে বাজে সময় কাটিয়েছে বাংলাদেশ। হুট করে নেতৃত্ব পাওয়ায় প্রস্তুতি নেওয়ার ভালো সুযোগ মিলেনি। পাকিস্তান সিরিজের আগেও মিলছে না খুব একটা। কারণ মাস তিনেক হলো টি-টোয়েন্টি সংস্করণেই খেলছে টাইগাররা। তবে মন্দের ভালো পাকিস্তানে যাওয়ার আগে বিসিএলের সুবাদে অন্তত একটা ম্যাচ খেলার সুযোগ মিলছে তাদের। আর সেখানেই মুমিনুল চোখ থাকবে সতীর্থদের উপর।

অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে নিজের পারফরম্যান্সও ভালো নয় মুমিনুলেরও। গত বছর থেকেই বিবর্ণ সময় যাচ্ছে তার। শেষ ছয় টেস্টে মাত্র একটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন। তাও চট্টগ্রামে আফগানিস্তানের বিপক্ষে। দেশের মাটিতে যেমন তেমন দেশের বাইরে দুই অঙ্কের কোটায় যেতেই কঠিন সংগ্রাম করতে হচ্ছে তাকে। সবশেষ টেস্টে তো জোড়া শূন্য। তাই চোখ রাখতে হচ্ছে নিজের উপরও।

সবমিলিয়ে এবারের বিসিএলে নিজেদের যাচাই করে নেওয়ার সুযোগ দেখছেন মুমিনুল, 'সবার টেস্টের আগে একটা ভালো প্রস্তুতি দরকার ছিল। আমার কাছে মনে হয়, বিসিএলে খেললে ভালো একটা প্রস্তুতি হবে। (এটা) অবশ্যই কাজে দেবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলার আগে যে কোনো একটা টুর্নামেন্ট খেললে এটা অনেক কাজে দেয়।'

তবে ম্যাচ না খেললেও লাল বলে অনুশীলন করেছেন মুমিনুলরা। টি-টোয়েন্টি দল পাকিস্তানে থাকার সময় নিয়মিতই অনুশীলন করেছেন তারা। তারপরও ঘাটতি অনুভব করছিলেন ম্যাচ অনুশীলনের। মুমিনুলের ভাষায়, 'আমার কাছে মনে হয় ম্যাচ অনুশীলন অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এমনি অনুশীলনের চেয়ে যে ম্যাচটি হয় সেটা আমার মনে হয় শতভাগের বেশি। আপনি সারা বছর অনুশীলন করলেন, কিন্তু ম্যাচ না খেললে কোনো লাভ নেই। অনুশীলন করার চাইতে যদি ম্যাচ খেলেন সেটা অনেক কাজে দেয়।'

আর কেন ম্যাচ অনুশীলন জরুরী তার ব্যাখ্যাও কিছু তুলে ধরেছেন তিনি, 'ফিল্ডিং অনেক কাজে দেয়। ব্যাটিংয়েও, যদি আপনি বড় ইনিংস খেলতে পারেন। বিশেষ করে ফিল্ডিংটা। এমনই আপনি যদি সারাদিন ফিল্ডিং করেন, নব্বই ওভার যদি আপনি ফিল্ডিং করতে পারেন এই জায়গায়, আপনার শরীরের মানিয়ে নেওয়ার একটা ব্যাপার থাকে। তো এটা ভালো কাজে দেয়। আর যারা বোলার, তারা দুই স্পেলে বোলিং করতে পারবে বা নতুন বলে বোলিং করতে পারে। কেউ আবার পুরনো বলে বোলিং করবে। এটাও কাজে দেবে আমার কাছে মনে হয়।'

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago