বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ৫ চীনা কর্মী পর্যবেক্ষণে
চীন থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশে আসা দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির পাঁচ কর্মীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়ায় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে তাদেরকে কাজে যোগ দিতে দেওয়া হয়নি।
বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক ও কোম্পানি সচিব আমজাদ হোসেন গতকাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির উৎপাদনে নিয়োজিত চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান এক্সএমসি-সিএমসি কনসোর্টিয়ামের অধীনে প্রায় ৩০০ চীনা নাগরিক বিভিন্ন পদে কর্মরত রয়েছেন।
তাদের মধ্যে কয়েকজন শ্রমিক ছুটি কাটাতে চীনে গিয়েছিলেন। সম্প্রতি পাঁচ কর্মী চীন থেকে বড়পুকুরিয়ায় ফিরে এসেছেন। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ওই পাঁচ কর্মীকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কবে নাগাদ তাদের কাজে যোগদান করতে দেওয়া সম্পর্কে কোনোকিছু জানানো হয়নি।
হিলি স্থলবন্দরে মেডিকেল টিম
ভারত থেকে দেশে আসা যাত্রীদেরকেও সতর্কতার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। করোনাভাইরাস যাতে কোনো পাসপোর্টধারী যাত্রীর মাধ্যমে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে, সেজন্য দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরের ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে বসানো হয়েছে মেডিকেল টিম। পাশাপাশি সতর্ক রয়েছে হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশ।
হাকিমপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী জানিয়েছেন, করোনাভাইরাস যাতে কোনোভাবে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে একটি মেডিকেল টিম বসানো হয়েছে।
ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ইমিগ্রেশন চেকপোস্টে কোনো যাত্রীর জ্বর, কাশি, সর্দি বা এ ধরনের কোনো উপসর্গ থাকলে, তাকে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে হিলি ইমিগ্রেশনে মেডিকেল টিম বসানো হলেও থার্মাল স্ক্যানারের মাধ্যমে যাত্রীদের শারীরিক স্ক্রিনিং করার কোনো যন্ত্র বসানো হয়নি।
হিলি ইমিগ্রেশন পুলিশের ওসি মো. রফিকুজ্জামান জানিয়েছেন, এই চেকপোস্ট দিয়ে কোনো চীনা নাগরিক বাংলাদেশে প্রবেশ করেননি। তবে তারাও এই ভাইরাসের ব্যাপারে সতর্ক রয়েছেন। ভারত থেকে আসা কোনো যাত্রীর শারীরিক ব্যাপারে সন্দেহ হলে তারা মেডিকেল টিমের কাছে পাঠানোর পর ছাড়পত্র দিচ্ছেন।
Comments