ঢাকা সিটি নির্বাচন

প্রার্থীদের দৌড়ঝাঁপ শেষ, এবার ভোটারদের পালা

polls_logo final.jpg

জমজমাট প্রচার-গণসংযোগ, ভোটারের দ্বারে দ্বারে প্রার্থীদের বিরামহীন ছোটাছুটি শেষ। দলের প্রার্থীর জন্য কর্মীদের দৌড়ঝাঁপ ফুরিয়েছে। এবার পালা ভোটারদের।

সকাল আটটা থেকে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হবে। যার মাধ্যমে আগামী পাঁচ বছরের জন্য দুজন মেয়র ও ১১১ জন কাউন্সিলর নির্বাচিত করবেন নগরবাসী।

আগামীকাল (১ ফেব্রুয়ারি) সকাল আটটা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। বিরতিহীনভাবে যা বিকাল চারটা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ শেষে শুরু হবে ভোটগণনা। সবশেষে ঘোষিত হবে ফলাফল।

ভোটকেন্দ্র ও ভোটার

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা এক হাজার ৩১৮টি। ভোটার ৩০ লাখ ৯ হাজার জন।

দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোটকেন্দ্র এক হাজার ১৫০টি। ভোটার ২৪ লাখ ৫২ হাজার জন।

ইভিএমে ভোটগ্রহণ

এবারই প্রথম ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের সব কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে।

নিরাপত্তা

নির্বাচনকে ঘিরে রাজধানীর নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল থেকেই রাজধানীতে টহল শুরু করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

বিজিবির গণসংযোগ কর্মকর্তা শরিফুল ইসলাম জানিয়েছেন, সবমিলিয়ে ঢাকার দুই সিটিতে মোট ৭৫ প্লাটুন বিজিবি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।

এছাড়াও, নির্বাচন উপলক্ষে নগরীতে ৪৫ হাজার থেকে ৪৭ হাজার পুলিশ, র‌্যাব, আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সদস্যদের মোতায়েন করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাশেম।

পরিচয়পত্র সঙ্গে রাখার পরামর্শ

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটের দিন নগরবাসীকে ছবিযুক্ত আইডি কার্ড সঙ্গে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ।

বহিরাগতদের ঢাকা ছাড়তে এবং অপ্রয়োজনে কাউকে ঢাকায় না আসার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাব প্রধান বলেন, “অনেক প্রার্থীর আত্মীয়স্বজন অন্য জায়গা থেকে ঢাকায় এসে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন। আপনাদেরকে অনেক ধন্যবাদ। আমরা আশা করবো এখন আপনারা ঢাকা ছাড়বেন।”

যান চলাচলে নিষেধাজ্ঞা

নির্বাচন উপলক্ষে শহরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বেশ কিছু উদ্যোগের সঙ্গে যান চলাচল সীমিত করার উদ্যোগও নিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

৩০ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে ২ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত ঢাকা শহরে কোনো মোটরসাইকেল চলতে পারবে না। অটোরিকশা, গাড়ি, বাস, ট্রাক, পিকআপ, মাইক্রোবাস, এসইউভি, টেম্পু, ট্যাক্সি ক্যাব এবং অন্যান্য যন্ত্রচালিত যানবাহন ৩১ জানুয়ারি দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।

তবে, অ্যাম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ডাক ও টেলিযোগাযোগের মত জরুরি সেবা সরবরাহের গাড়ি এই নিষেধাজ্ঞার বাইরে থাকবে। নির্বাচন কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন প্রার্থী, প্রার্থীদের এজেন্ট, সাংবাদিক, নির্বাচন পর্যবেক্ষকরা।

এছাড়াও, বৈধ টিকিট বা কাগজপত্র দেখানো সাপেক্ষে এয়ারপোর্ট, রেল স্টেশন, বাস টার্মিনাল এবং নদী বন্দরগামী যাত্রীরা চলাচল করতে পারবেন।

কুয়াশায় ঢাকা থাকবে ভোটের সকাল

আবহাওয়া অধিদপ্তর পূর্বাভাসে বলা হচ্ছে, আজ মধ্যরাত থেকেই শীতের প্রকোপ বাড়তে পারে। এর সঙ্গে পড়বে কুয়াশা। রাজধানী ঢাকা থেকে কুয়াশার চাদর সরতে সরতে স্থান ভেদে সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় হয়ে যেতে পারে।

Comments

The Daily Star  | English

Rising gas prices threaten our investment prospects

The previous government not only turned the country into a net importer of energy, but also initiated a process to make it an import-dependent.

6h ago