সাংবাদিক অবরুদ্ধ, পুলিশের সামনে তথ্য মুছলেন ছাত্রলীগ নেতা

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ভোটের তথ্য সংগ্রহে অবরুদ্ধ ও শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন-বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজী এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি নির্বাচনে ভোটের তথ্য সংগ্রহে অবরুদ্ধ ও শারীরিকভাবে হেনস্তার শিকার হয়েছেন দুই সাংবাদিক। তারা হলেন-বাংলাদেশ প্রতিদিনের মাহবুব মমতাজী এবং বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নুরুল আমিন জাহাঙ্গীর।

বাংলাদেশ প্রতিদিনের সাংবাদিক মাহবুব মমতাজী দ্য ডেইলি স্টারকে জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে দশটার দিকে গেন্ডারিয়ার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ডের জামিয়া আরাবিয়া ইমদাদুল উলূম ফরিদাবাদ মাদ্রাসা ভোটকেন্দ্রে তথ্য সংগ্রহে যান তিনি।

মাহবুব বলেন, “বেলা পৌণে ১১টার দিকে একটি বুথে দুই ভোটার তাদের ভোট দিতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন। আমরা ওই দুই ভোটারের ছবি তুলি এবং তাদের মতামত নিই”।

“তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে বের হয়ে আসার সময় আমাদের পথ আটকান গেন্ডারিয়া থানা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রিয়াদ। জামার কলার ধরে টানাহেঁচড়া ও ইসির দেয়া ভোট পরিদর্শন কার্ড ছিঁড়ে ফেলার চেষ্টা করেন”, বলেন মাহবুব। এসময় তাদের কাছে থাকা নোটবইও ছিঁড়ে ফেলা হয়।

তাদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করেন মাহবুব। মোবাইল ফোন উদ্ধারে ভোটকেন্দ্রের ইনচার্জ গেন্ডারিয়া থানার উপ-পরিদর্শক মাহমুদ এবং সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরিফকে বিষয়টি জানানো হয়।

কিন্তু তাদের কাছ থেকে কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ করেন মাহবুব ও জাহাঙ্গীর। তারা বলেন, পুলিশ কর্মকর্তারা ‘ছাত্রলীগ নেতাকে কিছু বলতে পারবেন না’ বলে জানান।

পরে দুই সাংবাদিক প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে গেলে তারাও অপরাগতা জানান। 

বেলা ১২টার দিকে পুলিশের ওয়ারি জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার হান্নানুল ইসলাম সেখানে যান। তার উপস্থিতিতেই সাংবাদিকদের মোবাইল ফোনের যাবতীয় তথ্য ও ছবি মুছে ফেলা হয় বলে জানান মাহবুব। এরপর প্রায় একঘণ্টা অবরুদ্ধ থাকার পর ওই ভোটকেন্দ্র থেকে বের হতে পারেন দুই সাংবাদিক।  

Comments